বাড়ি ভাঙার বিরাম নেই। বুধবার সাতসকালে আবারও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল স্যাকরাপাড়ার দোতলা বাড়ির একাংশ। বুধবার দুর্গা পিথুরি লেন ও স্যাকরাপাড়ার আশপাশ দিয়ে যাতায়াত নিষিদ্ধ করল পুলিশ। একাধিক বাড়ি হেলে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে যদি ভেঙে পড়ে, এই আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সে কারণেই বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে প্রশাসন। বাড়ানো হয়েছে গার্ডরেলের ঘেরাটোপ।
সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে বৌবাজার এলাকায়। যা আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে। আজ সকালে ৯ নম্বর স্যাকরাপাড়া লেনে ভেঙে পড়ে দোতলা বাড়ির বারান্দার একাংশ। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। যথাসময়ে বাড়ির সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে গ্রাউটিং-এর কাজ চালাচ্ছেন মেট্রো আধিকারিকরা। দুর্গা পিথুরি লেনের মাটিকে রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে শক্ত করার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: বৈশাখীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, পুলিশের দ্বারস্থ শোভন-বান্ধবী
আজ সকাল থেকে দুর্গা পিথুরি লেনের বাসিন্দারা এসে হাজির হয়েছেন গার্ডরেলের ধারে। বলাই যায়, তাঁরা একপ্রকার আশঙ্কার প্রহর গুনছেন। তাঁদের একটাই অনুরোধ, ‘‘বাড়িতে ঢুকতে দিন’’। কিন্তু নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পুলিশ তাতে কর্ণপাত করছে না।
আরও পড়ুন: মমতাই আমাকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছেন, বিস্ফোরক অর্জুন সিং
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠক করে জানান, ক্ষতিপূরণ হিসাবে বাড়ির বদলে বাড়ি ও পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। বৌবাজার বিপর্যয়ে যাঁরা রোজগার হারিয়েছেন, সেই ব্যবস্থাও করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতে একজন করে সদস্যকে ঢুকতেও দেওয়া হবে। তবে সঙ্গে থাকবেন পুলিশ, পুরসভা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের একজন করে কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী আরও আশ্বাস দিয়েছেন, কারও জিনিস চুরি যাবে না। একাধিক সিসিটিভি লাগানো হয়েছে ওই এলাকায়। যাঁদের প্রয়োজনীয় নথি হারিয়ে গিয়েছে বা বাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাঁদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে পরিচয় পত্র-সহ অন্যান্য নথিও ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করা হবে। ইতিমধ্যে একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী কাজ করা হবে।