উৎসবেও ঘোর অন্ধকারে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন, স্যাকরা পাড়া লেন। জনমানবহীন এলাকার অনেক বাড়ি। হাজার ওয়াটের আলো নিয়ে উৎসবে খোলা থাকতো সোনার দোকানগুলি। সেগুলিও বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এক মাসের উপর কর্মহীন প্রায় স্বর্ণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সহশ্র মানুষ। সৌজন্যে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের প্রাথমিকভাবে আর্থিক সাহায্য় করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এবার, ওই অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের জন্য সাহায্য়ের ঘোষণা করলেন কেএমআরসিএল আধিকারিকরা।
মেট্রো ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মধ্যে আগেই আলোচনা হয়েছিল। গড়া হয়েছিল কমিটি। সেই কমিটির সদস্যরাই শুনেছেন সব হারানো দোকানদারদের অভাব, অভিযোগের কথা। সব বিবেচনা করে স্থির করা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের প্রাথমিকভাবে ৫০,০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অ্যাড-হক পদ্ধতিতেই এই আর্থিক সাহায্য় প্রদান করা হবে বলে জানাচ্ছেন কেএমআরসিএল আধিকারিকরা। সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, 'এটাই শেষ নয়। কেএমআরসিএল ও ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের নিয়ে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই সব বিবেচনা করে এই মূল্য ধার্য করেছেন।' এর আগে বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অন্যত্র অস্থায়ী দোকান দেওয়ার কথাও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মোদী-ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হিউস্টন, থাকছে চমক
গত ৩১শে আগস্ট রাতে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন, স্যাকরা পাড়া লেনের বহু বাড়িতে ফাটল লক্ষ্য করা যায়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে টানেল বোরিং মেশিনের চাপ সহ্য করতে না পারার কারণেই ওই এলাকায় ধস নামে। তাতেই বাড়িগুলিতে গভার ফাটল ধরে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে যায়। সরিয়ে দেওয়া হয় ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের। মেট্রোর তত্ত্বাবধানে তাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে থাকা দোকানগুলি।
আরও পড়ুন: এবার এটিএম থেকে টাকা না বেরোলেই দিতে হবে জরিমানা
এরপরই চারদিকে হাহাকার। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় কেএমআরসিএলের তরফে। এদিকে, ব্যবসা বন্ধ। উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। মাথায় হাত পড়ে বেশিরভাগ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। দিন কয়েক আগেই মেট্রোর উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারপরই কেএমআরসিএলের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন।
তবে, ক্ষতির তুলনায় এই অর্থ নেহাতই নগন্য। দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের বন্ধ করে দেওয়া দোকানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক। আর্জি ক্ষতিগ্রস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের।
Read the full story in English