Advertisment

ন'মাসে ৪৩ বার ট্রাফিক আইন ভঙ্গ আরসালান পারভেজের, তদন্তে নয়া তথ্য

প্রাথমিকভাবে ঘটনাটির তদন্তভার ছিল কলকাতা পুলিশের ফ্যাটাল স্কোয়াডের হাতে। সোমবার তদন্তের দায়িত্ব পায় কলকাতা পুলিশের ডিকেটটিভ শাখার হোমিসাইড দফতর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
arsalan owner son kolkata

পুলিশি হেফাজতে আরসালান পারভেজ। এক্সপ্রেস ফোটো

দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতিবেগ ছিল প্রায় ১০০ থেকে ১২০ কিমি প্রতি ঘন্টা। শুক্রবার রাতে শেক্সপিয়র সরণি-লাউডন স্ট্রিটে মার্সিডিজে ধাক্কা এবং দু'জন বাংলাদেশি হত্যায় ধৃত আরসালান পারভেজের নামে এবার এমন অভিযোগই সামনে এল। প্রসঙ্গত, শহরের প্রখ্যাত বিরিয়ানির দোকানের মালিকের পুত্র আরসালান পারভেজকে রবিবার ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই পুলিশি তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তথ্যে দেখা যায়, গত ন'মাসে ৪৩ বার ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছে আরসালান পারভেজের এই জাগুয়ার গাড়িটি।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত এই জাগুয়ারটির নামে প্রায় ৪৮ বার ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা যাচ্ছে গাড়িটি রাসেল স্ট্রিট, মিডিলটন স্ট্রিট, থিয়েটার রোডের ট্রাফিক ভঙ্গ করেছে। মনে করা হচ্ছে, আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে শীঘ্রই বিশেষজ্ঞদের এবং টেকনিশিয়ানদের একটি দলের মাধ্যমে জাগুয়ারটি ভালো করে খুঁটিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটির তদন্তভার ছিল কলকাতা পুলিশের ফ্যাটাল স্কোয়াডের হাতে। সোমবার তদন্তের দায়িত্ব পায় কলকাতা পুলিশের ডিকেটটিভ শাখার হোমিসাইড দফতর।

আরও পড়ুন- ‘আর কত দিন?’, কলেজের পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বেঁধে দিয়ে মন্তব্য মমতার

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তদন্তের ভার মূলত কলকাতা পুলিশের ফ্যাটাল স্কোয়াডের হাতেই থাকে। কিন্তু কেন এ ক্ষেত্রে তা বদল হল? পুলিশ সূত্রে খবর, "এই ঘটনা শুধু দুর্ঘটনা নয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকও রয়েছে। যে সব নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটে, এটি তেমন নয়"। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার (স্পেশাল) বন্দনা বরুণ চন্দ্র শেখর বলেন, "পরবর্তী তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আজ আমাদের বিজ্ঞানশাখার একটি দল গাড়িটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে যাবে"।

উল্লেখ্য, মধ্য কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি-লাউডন স্ট্রিটের সংযোগস্থলে মার্সিডিজ গাড়িকে ধাক্কা এবং দুই বাংলাদেশি নাগরিককে খুনের অভিযোগে শনিবারই গ্রেফতার হয় আরসালানকে। দুর্ঘটনার দিন রাতে আরসালান পারভেজ তীব্র গতিতে ধাক্কা মারে মার্সিডিজটিকে এবং মার্সিডিজটি একটি ট্রাফিক কিয়স্ককে ধাক্কা মারে। সেখানেই তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক দাঁড়িয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ঝিনাইদহের কাজি মহম্মদ মইনুল আলম (৩৬) এবং ঢাকার বাসিন্দা ফারহানা ইসলাম তানিয়ার (৩০)।

আরও পড়ুন- ‘পুরানো’ মমতা হঠাৎ সশরীরে ঘরে ঢুকে পড়লেন, আপ্লুত বস্তিবাসীরা

রবিবারই আরসালানকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাঁর আইনজীবীরা জামিনের জন্য আবেদনও করেন। তবে চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট ইনচার্জ অলোকানন্দা রায় আরসালানের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন এবং ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তদন্তে জানা যায়, শুক্রবার সাড়ে এগারোটায় নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আরসালান পারভেজ। দুর্ঘটনার আগে পর্যন্ত কখন কী কী হয়েছিল তাও তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। যদিও পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২২ বছরের আরসালান সেদিন কোনও 'নাইট আউটে' যাননি। বরং সেদিন তিনি বেকবাগানে নিজের বাড়িতে আসার আগে তারাতলায় আরসালানের দোকানে গিয়েছিলেন সেখানকার অ্যাকাউন্ট দেখতে। পরিবারের দাবি, আরসালান পারভেজের গাড়িতে মেকানিক্যাল ত্রুটি থাকার দরুণ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটায়নি।

Read the full story in English

accident kolkata
Advertisment