ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত সহ দু'জনকে। তবুও জোড়াবাগানে ৮ বছরের নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশি তদন্ত। নৃশংস এই ঘটনায় তাই এবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুললো নিহতের পরিবার। বুধবার জোড়াবাগানের নিহত নাবালিকার বাবা ও কাকা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। সেখানেই এই খুনের কিনারায় কেন্দ্রীয় নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানানো হয়।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বলেছেন, 'তদন্ত যেভাবে চলছে তাতে আমরা ও নিহত নাবালিকার পরিবার খুশি নই। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। রাজ্যপালকে আমরা গোটা ঘটনা বলেছি। উনি তদন্তে নজর রাখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।'
কেন পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? জবাবে অনুপম হাজরা বলেন, 'ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল। কিন্তু পুলিশ নিহতের পরিবারকে এখনও এফআইআর এবং ময়না তদন্তের কপি দেয়নি। পুলিশের গাফিলতিতে রাজ্যের মদত রয়েছে। খোদ পুলিশ মন্ত্রী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু তদন্তে কারসাজি হচ্ছে। তাই নিরপেক্ষতা তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি করছি।'
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কলকাতার জোড়াবাগানের বৈষ্ণব শেঠ লেনের একটি বহুতলের সিঁড়ি থেকে মেলে এক নাবালিকার দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। শরীরে ছিল না পোশাক। চারটি দাঁতও ভাঙা ছিল। দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। ওই রাতে ঘটনার তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। একের পর এক সন্দেহভাজনকে জেরা করতে থাকে তারা। পরে আটক করে জেরা করা হয় সন্দেহভাজন কেয়ারটেকারকে। জেরায় মেলে অসঙ্গতি। তারপরই গ্রেফতার করা হয় ওই আবাসনের কেয়ারটেকারকে।পরে এই ঘটনায় জড়িত আরও এক জন গ্রেফতার হয়। ঘটনার তদন্তে নিদারুণ নৃশংসতার প্রমাণ মিলেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। খাবারের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে অভিযুক্ত কেয়ারটেকার ও তার সঙ্গীরা নিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন