ছট পুজোর ব্যবস্থাপনায় তৎপর তৃণমূল সরকার, শহরে তৈরি হলো একাধিক ঘাট

এবছর থেকে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুন্যাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা মেনে বিহারি সমাজের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবর লেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ছটপুজোর আয়োজন।

এবছর থেকে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুন্যাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা মেনে বিহারি সমাজের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবর লেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ছটপুজোর আয়োজন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
chhat puja 2019

ফাইল ছবি: শশী ঘোষ

ছটপুজোর আয়োজনে রাজ্য সরকার এবছর অত্যন্ত তৎপর। উৎসবের মরসুমে মন জয় করার দৌড়ও অব্যাহত সমগ্র স্তরের নেতাদের মধ্যেই। আগামীকাল, শনিবার, এবং সোমবার ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশও মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। শহরের একাধিক জায়গায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের তত্ত্বাবধানে খনন করা হচ্ছে পুকুর, তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী ঘাট। কারণ, এবছর থেকে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুন্যাল বা জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা মেনে বিহারি সমাজের নির্দেশে রবীন্দ্র সরোবর লেকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ছটপুজোর আয়োজন।

Advertisment

publive-image ফাইল ছবি: শশী ঘোষ

তবে প্রত্যেক বছরের তুলনায় এবছর ছটপুজোয় আয়োজনের ঘটা কিছু বেশি বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় বিহারি সমাজের প্রধান মণিপ্রসাদ সিং। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এবছর ছটপুজোর জন্য সবরকম ব্যবস্থাপনা করেছে। রবীন্দ্র সরোবর লেকের মতো বড় জায়গায় ছটপুজোয় বাধা থাকার কারণে তৃণমূল সরকার এগারো জায়গায় মোট তেরোটি ঘাট তৈরি করে দিয়েছে। সঙ্গে গঙ্গার ঘাটেও ছটপুজোর আয়োজন করা হয়েছে।"

Advertisment

অন্যদিকে, এবছর ছটপুজো নিয়ে কড়াকড়ি করেছে কেন্দ্রও। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সবরকম পূজাপাঠের পর গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার করা হয়। যা অন্য কোথাও হয়না।"

আরও পড়ুন: ছটে নিয়মভঙ্গ তুঙ্গে, লোক দেখানো বিকল্পও প্রস্তুত

publive-image ফাইল ছবি: শশী ঘোষ

মণিপ্রসাদ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে আরও বলেন, "কেএমডিএ'র তত্ত্বাবধানে ফোর্টিস হসপিটালের কাছে নোনাডাঙ্গায় তিনটে, এছাড়া যোধপুর পার্ক, গল্ফ গ্রীনে কুমীর পুকুর ও রামধন পার্ক, গোবীনন্দন কুটি পুকুর, মাদরতলা ঝিল, নবৃন্দাবন ঝিল, লালকা পুকুর, কাঠজু নগর, রুবি হাসপাতালের বিপরীতে, পাটুলী ঝিল, এবং ৭০ নম্বর পুকুরে একটি করে, সব মিলিয়ে শহরে মোট তেরোটি ঘাট তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি খাওয়ার জলের ব্যবস্থা, শৌচালয়, জল থেকে উঠে পোশাক বদলের জন্য পৃথক ঘর, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা, এবং প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকছে প্রত্যেক ঘাটের পাশে।"

আরও পড়ুন: সরকারি সহায়তাতেই সরোবরে ছট?

publive-image ফাইল ছবি: শশী ঘোষ

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, নিউ আলিপুর এলাকায় পুকুরের বিকল্প হিসেবে ৪০০ বর্গফুট ও তিন ফুট গভীরের দুটি পুকুর বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গত বছরের মত এবছরেও নেচার পার্কে শাসনের সৌজন্যে 'বিকল্প ঘাটের' ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেখানে থাকছে অস্থায়ী শৌচালয়, জলের মধ্যে ঘেরা স্নানের জায়গা, অস্থায়ী ঘাট।