/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/09/Mamata-Tala-Bridge.jpg)
নবনির্মিত টালা ব্রিজের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দীর্ঘ আড়াই বছরের প্রতীক্ষার অবসান। দেবীপক্ষের আগেই খুলে গেল নবনির্মিত টালা ব্রিজ। উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল এই ব্রিজ। রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে বিকেল ৫.৪৯ মিনিট নাগাদ ব্রিজের উদ্বোধন করেন মমতা। তার পর বলেন, পুজোর আগে এটা উপহার।
প্রসঙ্গত, মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিজের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। ২০১৯ সালে পুজোর আগে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়ে সরকারি সংস্থা রাইটস জানায়, ব্রিজ ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা উচিত। ওই বছরই পুজোর আগে সেতু দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। তার পরই করোনা অতিমারি চলে আসে। এপ্রিলে ব্রিজ ভাঙার কাজ শেষ হয়।
এর পর অগস্ট মাসে শুরু ব্রিজ নির্মাণের কাজ। নির্মাণকারী সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড এই কাজ শুরু করে। এই বছর জানুয়ারি মাসে পূর্ত দফতর জানিয়ে দেয়, এপ্রিলে খুলে যাবে ব্রিজ। কিন্তু সময়ে সেই কাজ শেষ হয়নি। ব্রিজ নির্মাণে ৪৬৮ কোটি খরচ হয়েছে। ৭৫০ মিটার দীর্ঘ এই টালা সেতু কলকাতা এবং শহরতলির মূল সংযোগকারী সেতু। এতদিন পর ফের জুড়ল কলকাতা এবং শহরতলি। ব্রিজ খুলে যাওয়া খুশি নিত্যযাত্রীরা। পুজোর বাড়তি পাওনা।
আরও পড়ুন ‘সুজিতবাবু রাস্তা যেন বন্ধ না হয়, হলেই ঘ্যাচাং ফু’, ভিড় নিয়ে হুঁশিয়ারি মমতার
ব্রিজ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে রেলের কর্তাদের বিশেষ অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, রেলের পরিত্যাক্ত জমি কিনতে চায় রাজ্য। রেলকে তা বিক্রি করার অনুরোধ করেন মমতা। তিনি বলেন, সেখানে ১৪৫টি গরিব পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। না হলে খালের ধারে বিশেষ ব্যবস্থা করে ঘর করে দেবে রাজ্য। এছাড়া টালা ব্রিজ হওয়ার ফলে স্থানীয় ও বেশ কয়েকটি পরিবারের যে অসুবিধা, অভিযোগ রয়েছে সেগুলো পূর্ত দফতরকে মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।