করোনা আতঙ্কের মধ্যেও ময়দান ছাড়েননি পার্ক সার্কাসের আন্দোলনকারীরা। সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই মাস ধরে পার্কসার্কাস ময়দানে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অবস্থানকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, গুলি খেয়ে মরতে হত, না হয় করোনা ভাইরাসে মরে যাব।
দিনে ভিড় কমলেও ময়দান ছাড়েননি আন্দোলনকারীরা। ছবি- শশী ঘোষ
দিল্লির শাহিনবাগের এনআরসি বিরোধী আন্দোলন সারা দেশেই সাড়া ফেলেছে। মহানগরের পার্কসার্কাসেও চলছে অনুরূপ আন্দোলন। এই আন্দোলনে হাজির হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, শাহিনবাগের 'দাদি'-সহ অনেকেই। ইদানীং দিনের বেলায় এই ময়দানে ভিড় কমলেও বিকেল থেকে অবস্থানে যথারীতি আন্দোলনকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকছে।
আরও পড়ুন: করোনাতঙ্কে রাজ্যজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়াল মমতা সরকার
দেশ জোড়া করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে কলকাতায়ও। কিন্তু আন্দোলনকারীরা এতেও ভিত নন। সোমবার পার্কসার্কাসের এক আন্দোলনকারী সেলিমা খাতুন বলেন, "এখন পরীক্ষা চলছে। তাই দিনের বেলায় ভিড় একটু কম হচ্ছে। কিন্তু বিকেল থেকে মানুষজনের সমাগম বাড়ছে। তাছড়া এই আন্দোলন অন্য়ত্র অনেক জায়গায় চলছে।" কিন্তু করনো থেকে রক্ষা পেতে এক জায়গায় জন সামাগম এড়ানোর উপদেশ দেওয়া হচ্ছে তো? সেলিমার জবাব, "আমাদের দাবি না মানলে গুলি মারলেও সরব না। সেই লক্ষ্যেই আমরা এখানে বসেছি। ভাইরাসেও যদি মারা যাই, তাহলেও এখান থেকে উঠব না। কোনও ভয় আমাদের এখান থেকে তুলতে পারবে না। সিএএ, এনআরপি ও এনআরসি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে সরে আসতে হবে।"
ছোটদের লেখা এনআরসি বিরোধী চিঠি পড়ছেন এই উৎসুক। ছবি- শশী ঘোষ
এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থানকারীরা। রহিমা খাতুন, মহম্মদ সিকান্দার, ইয়াসমিন বেগম, নুজহাত পারভিনরা মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন পার্কসার্কাসের ময়দানে। তাঁরাও জানিয়ে দিয়েছে, এই আন্দোলন চলবে। মরার ভয়ে 'বাচার লড়াই' থেকে আপাতত পিছু হঠছে না পার্কসার্কাস।