আলিয়া কাণ্ডে এবার পুলিশের বিরুদ্ধেই বোমা ফাটালেন উপাচার্য অধ্যাপক মহম্মদ আলী । মঙ্গলবার তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)সদস্যরা যখন তাকে হেনস্থা করছিলেন সেই সময় তিনি বারবার পুলিশে ফোন করেন । কিন্তু তার ফোন পেয়েও তাকে উদ্ধার করতে পুলিশের তরফে কোন সাহায্য মেলেনি।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ঘটনা বিবরণ জানিয়ে একটি চিঠি লিখবেন সেই সঙ্গে আলিয়ার কিছু সমস্যার কথাও সেই চিঠিতে তিনি তুলে ধরবেন'। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে গালিগালাজ, খুনের হুমকি দেওয়ায় ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মন্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত এই ছাত্রনেতাকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: মসজিদের চূড়ায় উঠে ধর্মীয় স্লোগান, ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়ে চড়ে বসল পুলিশ
এদিকে এমন ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে মুখ খোলেন শিক্ষিত সমাজ। তবে এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পর পুলিশের নিরক্ষেপতা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। এদিকে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মহম্মদ আলী বলেন, “ কিছু ছাত্র আমার দরজায় লাথি মেরে আমার চেম্বারে ঢুকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এই সময় আমি বারবার পুলিশকে ফোন করি। অনুরোধ করার পরও পুলিশের তরফে কোন সাহায্য পাইনি’।
যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে তারা সব দিক খোলা রেখে আলিয়া কান্ডে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ছাত্র নেতা গিয়াসউদ্দিন মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Read story in English