চিকিৎসক, নার্স ও স্থাস্থ্যকর্মী সহ ৭৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাল নীলরতন সরকার হাসপাতাল। এঁদের মধ্যে ৩৯ জন চিকিৎসক। এই পদক্ষেপের অবশ্যম্ভাবী প্রভাব পড়তে পারে হাসপাতাল পরিষেবায়, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার দ্বৈপায়ন বিশ্বাস বলেন, "রোগীর সংখ্যা এখন অনেকটাই কম, তাই আশা করছি তেমন অসুবিধা হবে না।"
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হলো? জানা যাচ্ছে, আগাম সতর্কতা ছিল না চিকিৎসকদের কাছে। যে কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এন আর এস হাসপাতালে হিমোফিলিয়া আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হয়। এরপর তাঁর অবস্থা ক্রমশ সংকটজনক হয়ে ওঠে, যার ফলে তাঁকে সরানো হয় হাসপাতালের সিসিইউ বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে মৃত্যুর পরে তাঁর করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তাতে দেখা যায়, ওই রোগীর শরীরে মিলেছে নভেল করোনাভাইরাসের জীবাণু।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বিশেষ বোর্ড গঠন মমতা সরকারের, থাকছেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ
হাসপাতালের ডাক্তারদের একাংশ জানিয়েছেন, রোগীদের সম্পর্কে আগে থেকে জানা গেলে বা রিপোর্ট ঠিক সময়ে এলে এমন সমস্যার মুখে পড়তে হতো না। দ্বৈপায়নবাবু বলেন, "ওই রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকতে পারেন এমন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের চিহ্নিত করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।"
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র ছাড়াও বেশ কিছু হোটেলে এবং নিজেদের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের। ১৪ দিন পর তাঁরা আবার কাজে যোগ দিতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন