দুই ভাইয়ের পচাগলা মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল খিদিরপুর এলাকায়। তাঁদের বোনকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা। পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত দুই ভাইয়ের নাম ত্রিলোকী প্রসাদ গুপ্ত (৫৯), ভোলা প্রসাদ (৫৩) এবং তাঁদের বোন শান্তি (৫৬)। তবে প্রাথমিক তদন্তে খুনের কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। পুলিশের অনুমান, খিদিরপুরের কার্ল মার্ক্স রোডের এই বাড়িতে বিষাক্ত কোনও গ্যাসের কারণেই মারা যান তিনজন।
আরও পড়ুন- কাঁচিতে কাটল সদ্যজাতর বুড়ো আঙুলের ডগা, অভিযুক্ত জুনিয়ার ডাক্তার
বেশ কিছুদিন যাবৎ বাড়ির ভিতর থেকে আসা দুর্গন্ধের কথা প্রথমে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা, এরপর পুলিশ এসে দরজা খুলে উদ্ধার করে দুই ভাইয়ের পচাগলা দেহ এবং মৃতপ্রায় শান্তিদেবীকে। তবে তিনজনের শরীরে কোনও ভারী আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশের তরফে জানানো হয়, "তিনটি মৃতদেহকেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর সময় এবং মৃত্যুর কারণগুলি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানতে পারব আমরা"।
আরও পড়ুন- আজব কাণ্ড! রাতের আঁধারে পুড়ছে বাইক-গাড়ি, আতঙ্কে প্রহর গুনছে দুর্গাপুর
জানা গিয়েছে, ভোলা প্রসাদের দুধের ব্যবসা ছিল, অন্যদিকে ত্রিলোকী প্রসাদ সরকারি চাকরি করতেন। তবে দুজনেই অবিবাহিত ছিলেন। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, "ঘরের ভিতর কোনও খোলা জায়গা ছিল না। এমনকি ভেন্টিলেটরগুলোকেও বন্ধ করে দেওয়া ছিল। আমরা বাড়ির মধ্যে একটা ডিজেল চালিত জেনারেটরও পেয়েছি।"
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিকভাবে মত, বন্ধ ঘরে জেনারেটর চলায় কার্বন -মনোঅক্সাইডের মাত্রাতিরিক্ততায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে মৃতদের বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে সেই কারণে তাঁরা জেনারেটর ব্যবহার করতো। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Read the full story in English