New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/08/sastha-bhavan.jpg)
একাধিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল৷ তবে অতিমারীর কালে সেই কর্মসূচির অনুমোদন দেয়নি প্রশাসন৷
শুক্রবার একাধিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে স্মারকলিপি জমার কর্মসূচি ছিল ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরস’ সংগঠনের৷ তবে অতিমারীর এই পরিস্থিতিতে সেই কর্মসূচির অনুমতি মেলেনি৷ প্রশাসনের এই পদক্ষেপে যারপরনাই ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের এই সংগঠন৷ প্রেস বিবৃতি দিয়ে ক্ষোভের কথা জানানো হয়েছে সংগঠের তরফে৷ একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছে এই সংগঠনটি৷ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিয়ত লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এই সংগঠনের৷
এদিন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরস’ সংগঠনের তরফে বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দীর্ঘ অবহেলিত ও অনাদায়ী জ্বলন্ত কিছু দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ প্রশাসকদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং দ্রুত সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে বঞ্চনার অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে এক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল৷ কিছুদিন আগেই এই ঘোষণা করা হলেও প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোভিড-বিধি ও ১৪৪ ধারার কথা শুনিয়ে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার পুলিশ উপরতলার আদেশে গতকাল রাতে "গ্রুপ এ" অফিসারদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের স্বাস্থ্য ভবনে আসার প্রশ্নে নিষেধাজ্ঞা জারি করে৷
আরও পড়ুন-দাদুর মৃতদেহ ফ্রিজে! ‘অনটনে শেষকৃত্য হয়নি’, দাবি নাতির
সংগঠনটির আরও অভিযোগ, পুলিশের তরফে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁদের জানানো হয়, এই প্রশ্নে অন্যথা হলে তারা "কেস" দিতে বাধ্য থাকবেন এবং তার ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘চিকিৎসক গেজেটেড অফিসারদের সংগঠন কোভিড বিধি, কারও থেকে কম বোঝে না। সবার সম্পূর্ণ টিকাকরণ ইতিমধ্যেই সমাপ্ত। কোনওরকম অশান্তি, হিংসা বা সার্ভিস বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের কোনও প্রশ্ন কোনওদিন ছিল না, আজও নেই। অথচ প্রশাসন গণতান্ত্রিক পরিসরের নূন্যতম অধিকারটুকু কেড়ে নিল। কোভিড সেনানীরাই আজ প্রশাসনের কাছে ব্রাত্য।’’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘গতকাল রাতে আমাদের পুলিশের তরফে এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়৷ ওপরমহলের নির্দেশ মেনে তাঁরা এই কাজ করছেন বলে আমাদের জানান৷ কয়েকজনকে গিয়ে স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়৷ আমরা সেটা চাইনি৷ ক্ষোভের কথা মাত্র দু-তিনজন গিয়ে বলা সম্ভব নয়৷ আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি৷ আগামিকাল বৈঠকে বসব৷ সামনের সপ্তাহে একই কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে৷’’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন