খাস বাংলায় বাংলা গানের পায়ে বেড়ি? এমনই অভিযোগ বাংলা পক্ষের। তবে সংগঠনটির উপর্যুপরি বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে পিছু হটেছে কলকাতার গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের একটি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। রেস্তোরাঁয় বাংলা গান বাজাতে রাজি হয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও রেস্তোরাঁয় বাংলা গানে কখনই 'নিষেধাজ্ঞা' জারি ছিল না বলে জানিয়েছেন কর্ণধার সন্দীপ সেহগাল।
চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশন লাগোয়া রেস্তোরাঁ। অভিযোগ, ভোজনরসিক এক বাঙালি পরিবার নিয়ে রেস্তোরাঁটিতে খেতে গিয়েছিলেন। সেই সময় একটি ব্যান্ডের সদস্যরা রেস্তোরাঁয় গান গাইছিলেন।
খাওয়ার ফাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ওই ব্যক্তি ব্যান্ডের সদস্যদের একটি বাংলা গান গাইতে অনুরোধ জানান। তবে অভিযোগ, সরাসরি ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। রেস্তোরাঁর কর্মীরা তাঁকে জানান, সেখানে বাংলা গান গাওয়া বা বাজানো যাবে না।
আরও পড়ুন- ‘জমি দিচ্ছে না রাজ্য, কলকাতায় নয়া এয়ারপোর্টের কাজ আটকে’, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
ঘটনাটি জানাজানি হতেই সোচ্চার হয় বাংলা পক্ষ। ভর সন্ধেয় ওই রেস্তোরাঁর সামনে পৌঁছে যান সংগঠনের সদস্যরা। শুরু হয় প্রতিবাদ। এরপর রেস্তোরাঁয় ঢুকে তাঁরাই বাংলা গান গাইতে শুরু করেন। শান্তিপূর্ণভাবে চলে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। বাংলা পক্ষের সদস্যদের এই কর্মকাণ্ডের আনন্দ নেন সেই সময় রেস্তোরাঁয় খেতে আসা বাকিরাও।
শেষমেশ সংগঠনটির এই প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে মুখ খোলেন রেস্তোরাঁটির কর্ণধার সন্দীপ সেহগাল। তবে তিনি জানান, কখনই তাঁদের রেস্তোরাঁয় বাংলা গান গাওয়া বা বাজানো যাবে না এমনটা বলা হয়নি। কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝির জেরেই এই বিপত্তি তৈরি হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।