/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/DURGA-PUJA.jpg)
এইচআইভি পজিটিভ! এমন রোগীর হদিশ পেলেই ব্যভিচারি জীবনযাপনের গন্ধ খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তথাকথিত সমাজ। দুরারোগ্য ব্যাধিতে যে 'সহমর্মিতা' মেলে, এক্ষেত্রে তাও জোটে না। কারণ, এটা নাকি ছোঁয়াচে, দূরে থাকতে হবে। তবে এই জাতীয় ভাবনাকে দূরে ঠেলে এইচআইভি আক্রান্তদের হাত দিয়েই পুজো উদ্বোধন করিয়ে আক্ষরিক অর্থে 'পজিটিভ' বার্তা দিল বরানগরের ফকির ঘোষ লেন দুর্গাপুজো কমিটি।
এইচআইভি পজিটিভ শব্দ দুটি শুনলেই একরকম ব্রাত্য করে দেয় এই সমাজ। অথচ সমাজ ও শরীরকে নিয়ে অসম লড়াই দাঁত চেপে লড়তে হয় রোগীকে। এবার তাঁদেরই স্বীকৃতি দিল ফকির ঘোষ লেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/pujo-Indside-1.jpg)
আরও পড়ুন: ক্যান্সারের অসুরকে বধ করে পুজো মন্ডপ উদ্বোধনে খুদেরা
আনন্দ ঘর হোম। 'ক্যাফে পজিটিভে'র দৌলতে খবরের শিরোনামে এসেছে এই নাম। দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোবিন্দপুর গ্রামে এইচআইভি আক্রান্তদের নিয়ে তৈরি একটি হোম। বাবা-মা থাকতেও ওরা অনাথ। এই হোমের পরিচালনা করেন কল্লোল বসু। সেখানেই এক অনাথ আশ্রমে বড় হচ্ছে এইচআইভি পজিটিভ ভাইরাস বহনকারী একদল শিশু-কিশোর। ফকির ঘোষ লেনের এক কর্মকর্তা জনিয়েছেন, "ভাইরাস বহন করে বটে, কিন্তু তা ছোঁয়াচে নয়। এইডস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে না। তাহলে ভয় কীসের? এইচআইভি শরীরে থাকলেই যে তিনি সাধারণের চোখে এখনও এইডস রোগী! তবে এটা নিখাদ ভুল একটা ধারণা। এই সচেতনতা বাড়াতেই ওদের হাতে উদ্বোধনের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফকির ঘোষ লেনের দুর্গাপুজো কমিটি"।