আজ মহাসপ্তমী। আজ লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক নিয়ে দেবী দুর্গার সপরিবারে মর্ত্যে বাপের বাড়িতে আসার দিন। মহাসপ্তমীর পুণ্যলগ্নে পুজোর উপাচার শুরু হয় নবপত্রিকা স্নান দিয়ে। এদিন ভোর থেকেই কলকাতার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে নবপত্রিকা করানোর ভিড় চোখে পড়েছে। নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। শাস্ত্রমতে, তারপর ষোড়শ উপাচারে শুরু হয় সপ্তমীর পুজো।
প্রসঙ্গত, ৯টি ঔষধি বৃক্ষকে ৯ দেবীজ্ঞানে চলে এই স্নানপর্ব। নবপত্রিকা স্নানের পরই হয় দেবীর মহাস্নান। তারপর ঘটে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় মহাসপ্তমীর পুজো। নবপত্রিকা শব্দটির অর্থ হল নটি গাছের পাতা। কিন্তু বাস্তবে নবপত্রিকা নটি পাতা নয়, নটি গাছ। সেই নটি গাছ হল কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান।
প্রথমে পাতার সঙ্গে একটি কলা গাছের সঙ্গে আর বাকি আটটি মূল ও পাতা-সহ গাছগুলি বাঁধা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় একজোড়া বেল। সবগুলি বাঁধা হয় অপরাজিতা লতা দিয়ে। এরপর লালপাড় সাদা শাড়ি দিয়ে জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর রূপ দেওয়া হয়। চলতি ভাষায়, নবপত্রিকার আরেক নাম কলাবউ। নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়।
আরও পড়ুন ২০২২-এ পুজোর ছুটির মধ্যেই ঢুকেছে জাতীয় ছুটি! বাড়তি ছুটি নষ্ট, দেখুন ক্যালেন্ডার
নবপত্রিকার স্নানের পরই হয় দেবীর মহাস্নান। এরপর ঘটে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে শুরু হয় মহাপুজো। কলাবউকে সিঁদুর পরিয়ে সপরিবারে দেবীর ডান দিকে দাঁড়ি করিয়ে পুজো শুরু হয়। মহাসপ্তমীতে এই ভাবেই প্রকৃতি আরাধনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মাতৃশক্তির আরাধনা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন