ঢাকে কাঠি পড়তে আরও কয়েকটা মাস বাকি। কিন্তু তা সত্ত্বেও করোনার হানায় উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটির উদ্য়োক্তাদের মধ্য়ে। যেভাবে করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে, তাতে এ বছর কলকাতার পুজো ঘিরে সংশয় দেখা দিয়েছে। কলকাতায় পুজোর আনন্দের ছবি খানিকটা ম্লান হতে পারে এ বছর। জাঁকজমকহীন ভাবেই এ বছর দুর্গাপুজো দেখতে পারে এ শহর। অন্তত এমনটাই মনে করছে শহরের পুজো উদ্য়োক্তাদের ফোরাম। তবে করোনার জেরে কলকাতায় দুর্গাপুজো হবেই, মণ্ডপও তৈরি হবে, এমনটাই জানিয়েছেন পুজো উদ্য়োক্তাদের একাংশ।
এ প্রসঙ্গে দুর্গোৎসব ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দীপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ''শহরের বড় বড় পুজো কমিটিগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বছর ছোটো করে দুর্গাপুজো করা হবে। কিন্তু তাঁরা বলেছেন পুজো বন্ধ হবে না''। উল্লেখ্য়, প্রতি বছর প্রায় ৪০০ বড় পুজো হয় কলকাতায়। থিম পুজো ও সাবেকিয়ানার মিশেলে প্রতি বছরই তাক লাগায় কলকাতার পুজো।
আরও পড়ুন : বাংলার বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর, করোনা আবহে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ
দুর্গোৎসব ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ''স্পনসররা আমাদের জানিয়েছেন যে তাঁরা এ বছর বেশি টাকা দিতে পারবেন না। কারণ, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের আয়ে প্রভাব পড়েছে''। প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এ বছর পয়লা বৈশাখের মুখে মার খেয়েছে চৈত্র সেলও। কার্যত ঘরবন্দি হয়েই বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছেন রাজ্য়বাসী।
কলকাতার অন্য়তম নামী পুজো বেহালা নূতন দলের প্রেসিডেন্ট দেবব্রত মুখোপাধ্য়ায় বলেছেন, ''বাজেট কাটছাঁট করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর বাজেট থেকে আমরা মুখ্য়মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য় করেছি। আগামী দিনে আরও সাহায্য় করতে পারি। আমরা মণ্ডপ বানাব কিন্তু অল্প বাজেটের মধ্য়ে করা হবে। আমরা জানি যে মণ্ডপের জন্য় আমাদের স্পনসররা আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে টাকা দিতে পারবেন না। তবুও আমরা এ বছরের পুজোর পরিকল্পনা করছি। কিন্তু সবটাই সরকারের ঘোষণার উপর নির্ভর করছে। সরকারের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করব আমরা''।
সন্দীপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আরও জানিয়েছেন, ''দুর্গাপুজো তো শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এর সঙ্গে একটা বড় শিল্প জড়িয়ে রয়েছে, যেখানে বড় আয় হয়। পুজোর শপিং, ঢাকি, মণ্ডপ কারিগর-সকলের আয় জড়িয়ে রয়েছে। ফলে পুজো বাতিল করা হবে না। জুলাইয়ে পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও ভাল করে বুঝতে পারব''।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন