অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। আজ রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের হাত ধরেই নয়া সূচনা হল কলকাতার বহু প্রতীক্ষিত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর। প্রাথমিক ধাপে সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত চালু করা হচ্ছে এই মেট্রো পরিষেবা। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ নয়া এই মেট্রো লাইনে থাকছে ছয়টি স্টেশন, যথাক্রমে- সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী, সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার, বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং সল্টলেক স্টেডিয়াম। আগামিকাল সাধারণের জন্য যাত্রী পরিষেবা চালু করা হবে বলে খবর।
নতুন রুট উদবোধন করবেন রেলমন্ত্রী
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের লোকজনকে বলছি মেট্রোয় চড়বেন না’
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরটি সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সংযোগ করছে পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তকে। ৫.৮ কিলোমিটার রয়েছে রেলপথের জন্য দীর্ঘ সেতু, এবং ১০.৮ কিলোমিটার রয়েছে ভূগর্ভস্থ পথ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেশে এই প্রথম যেখানে কলকাতা এবং হাওড়া এই দুই জেলাকে যোগ করতে হুগলী নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ করে দেওয়া হবে মেট্রো পরিষেবা। আজ থেকেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দরজা।
কোন কোন বিশেষ ব্যবস্থা থাকছ মেট্রোতে?
প্ল্যাটফর্মে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ স্ক্রিন ডোর, প্রতি কামরায় ডিসপ্লে বোর্ড ও চারটি সিসি ক্যামেরা,বয়স্ক এবং অশক্ত যাত্রীদের জন্য প্রতি স্টেশনে একাধিক লিফট এবং এসক্যালেটর, প্রত্যেক স্টেশনে সুইস সংস্থার বড় ঘড়ি, স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, প্রতি কামরায় ডিসপ্লে বোর্ড ও চারটি সিসি ক্যামেরা।
‘‘রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা এলে ভাল লাগত। প্রত্যেকেরই অবদান রয়েছে এই প্রকল্পে’’, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের উদ্বোধনে বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। উল্লেখ্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় বঙ্গ রাজনীতিতে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন