দুই দশকের ব্যবধানে ফের নোবেল পুরস্কার পেলেন বাঙালি। আবারও অর্থনীতিতে। সোমবার দুপুরে পুরস্কার কমিটি ঘোষণা করে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এস্থার ডাফলো, মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে নোবেল পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। গর্বিত রাজ্যবাসী। অত্যন্ত খুশি অর্থনীতিবিদ তথা অধ্যাপক দীপঙ্কর দাশগুপ্তও। কারণ ১৯৯৮ সালে অমর্ত্য সেনের পর এই সর্বোচ্চ সম্মান পেয়ে ইতিহাস গড়েছেন দীপঙ্করবাবুরই সতীর্থ অভিজিৎ। দারিদ্র দূরীকরণে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সাফল্য তাঁকে গর্বিত করছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান দীপঙ্করবাবু।
আরও পড়ুন: বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল জয়
দারিদ্র দূরীকরণের উপর কাজ করেছেন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। কিন্তু, তাদের তত্ত্ব কি ভারতের অর্থনীতির উন্নয়নে প্রয়োগ করা যায় না? অধ্যাপক দীপঙ্কর দাশগুপ্ত এ বিষয়ে বিশেষ মুখ খুলতে নারাজ। তবে এ পর্যন্ত যে দুই বাঙালি অর্থনীতিবিদ নোবেল পেলেন, তাঁরা কেউই ভারতে বসবাস করেন না। ফলে দেশের দারিদ্র দূরীকরণে গবেষণার তত্ত্ব প্রয়োগ সফলভাবে সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান দীপঙ্করবাবু।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে ফের নোবেল জয় বাঙালির, অভিনন্দন জানাল টলিউড
ঘটনাচক্রে ২০১৯-এর নোবেলজয়ী এস্থার ডাফলো এবং অধ্যাপক বন্দ্যপাধ্যায় স্বামী-স্ত্রী। এই মুহূর্তে দুজনেই ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে অধ্যাপনা করছেন। আরেক নোবেলজয়ী ক্রেমার যুক্ত রয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে।
৫৮ বছর বয়সী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুল জীবন কেটেছে কলকাতাতেই। সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে পাশ করে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা শুরু। ১৯৮১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন অধ্যাপক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন তিনি।