ইদের সকালে আচমকা রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গী হলেন ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পার্ক সার্কাসে রিজওয়ানুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন মমতা। তার পর মা কিশওয়ারা জাহান এবং দাদা রুকবানুর রহমান-সহ পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা-অভিষেক। প্রায় তিন বছর পর রিজওয়ানুরের বাড়িতে পা রাখলেন মমতা।
একদিকে যখন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ইদের দিন সকালে নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গেলেন। সেদিনই রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে পা রাখলেন মমতা-অভিষেক। আমতায় আনিসের বাড়িতে যাওয়ার কথা সোমবার রাতেই বলেছিলেন সেলিম। জানিয়েছেন, এবারের ইদে কোনও উৎসব পালন করবেন না তিনি। আনিসের বাড়িতে তাঁর পরিবারের পাশে থাকবেন।
আবার এদিনই রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালেন তাঁর মা-পরিবারের সঙ্গে। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন রিজওয়ানুরের মৃত্যুতে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল করেছিলেন মমতা। তাঁর রাস্তায় আন্দোলনের শরিক হয়েছিল নাগরিক সমাজ। রিজওয়ানুরের মৃত্যুর পর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছিলেন বহু সংখ্যালঘু মানুষ। আবার মমতার উপর আস্থা দেখিয়ে পথে নেমেছিলেন অনেকে। বাংলার রাজনীতিতে পালাবদলের আভাস দিয়েছিল সেই আন্দোলন।
আরও পড়ুন ‘বাংলার সম্প্রীতি দেখে ওঁরা হিংসা করে’, রেড রোডে নাম না করে বিজেপিকে তোপ মমতার
বহু বছর পর ফের রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়েছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা। কারণ আনিসের মৃত্যু এবং বগটুই হত্যাকাণ্ড। দুই ক্ষেত্রেই হিংসার শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। আনিসের মৃত্যুতেও রিজওয়ানুরের মতো কাঠগড়ায় পুলিশ। অনেকেই রিজওয়ানুর এবং আনিসের মৃত্যুকে একসূত্রে গেঁথেছেন। এদিন আমতা-পার্ক সার্কাসে সেলিম এবং মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়াকে ক্ষতে প্রলেপের চোখে দেখছে রাজনৈতিক মহল।