ভারতে কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন বিদ্যার পথপ্রদর্শক তিনি। দেশ-বিদেশে বহু সম্মানে ভূষিত। সেই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ কিংবদন্তী চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী প্রয়াত হলেন শুক্রবার। এদিন সকাল পৌনে দশটা নাগাদ ৯৪ বছর বয়সী এই চিকিৎসক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাসাধিক কাল ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। সেরিব্রাল স্ট্রোক, নিউমোনিয়া-সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন। একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত বছর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রয়াণ শোকবার্তায় লিখেছেন, "ভারতে আইভিএফ বা কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন, নলজাতক গবেষণা এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। বর্ষীয়ান চিকিৎসকের প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন অগণিত নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তানলাভে সাহায্য করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৯ সালে বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্মানে ভূষিত করে। তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসা ও গবেষণা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। তাঁর আত্মীয় পরিজন এবং অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন অবসরে মমতা, ১০ বছর সীমান্ত সুরক্ষা শেষে একই পথের পথিক সেনা-কর্মী গাইড-ও
১৯৮৬ সালে ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন তৈরি করেন বৈদ্যনাথবাবু। কৃত্রিম প্রজনন এবং গবেষণার জন্য বিখ্যাত ছিল এই প্রতিষ্ঠান। তিন বছর আগে এই প্রতিষ্ঠান আইসিএমআর-এর হাতে তুলে দেন কিংবদন্তী চিকিৎসক। তাঁর প্রয়াণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলছেন বাংলার চিকিৎসক মহল।