Durga Puja Guideline 2021: গতবারের মতো এবারও দুর্গাপুজোয় করোনা অতিমারীর আবহ বর্তমান। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। এই অবস্থায় পুজোর আকাশে বিপর্যয়ের ঘনঘটা। অতিমারীর আবহে কীভাবে সুষ্ঠুভাব-সংক্রমণ এড়িয়ে পুজো সম্ভব তার গাইডলাইন প্রকাশ করল কলকাতার পুজোওয়ালাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ১৪ দফার গাইডলাইনে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে টিকাকরণে।
এই গাইডলাইন প্রস্তাবের আকারে পাঠানো হয়েছে নবান্নে। রাজ্য সরকার অনুমোদন দিলে এই গাইডলাইন মেনেই এবছর হবে পুজো। গতবছর টিকা আসেনি বলে ভিড় নিয়ন্ত্রণে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। এবছর টিকা বাজারে চলে আসায় টিকাকরণকে সামনে রেখে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। ফোরামের ছাতার তলায় ছোট-বড় মিলিয়ে সাড়ে চারশোর বেশি পুজো কমিটি রয়েছে। প্রত্যেককেই এই গাইডলাইন মানতে হবে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই গাইডলাইন-
- দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কমিটির কর্মকর্তা থেকে সদস্যদের, ঢাকি থেকে পুরোহিত প্রত্যেকের টিকাকরণ বাধ্যতমূলক।
- মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার, এবং শারীরিক দূরত্ব বিধি মানতে হবে।
- বৈভব-জৌলুস কমিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে জনহিতকর কাজে উদ্যোগ নিতে হবে।
- গতবারের মতো খোলামেলা মণ্ডপ করতে হবে, বাইরে থেকে প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শনের সুযোগ থাকতে হবে।
- পুজোর নৈবেদ্য থেকে বিসর্জন সবকিছুতেই কোভিড বিধি মানতে হবে।
- সন্ধিপুজো-সিঁদুরখেলায় শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে হবে।
- নৈবেদ্যতে কাটা ফল নয়, গোটা ফলেই পুজোর কাজ।
- প্রশাসনের সঙ্গে মিলে স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ করতে হবে। মণ্ডপে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর রাখতে হবে।
আরও পড়ুন আর ছুটতে হবে না পুরসভায়, আসছে ‘দুয়ারে কেএমসি’ কর্মসূচি
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেছেন, দুর্গাপুজোর সঙ্গে অর্থনীতি জড়িয়ে আছে। প্রতি বছর পুজোর সময় ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয় বাংলায়। কিন্তু অতিমারীতে লকডাউন এবং কোভিড বিধির জন্য গতবছর পুজোয় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার উপর গত বছর আমফান এবং এবছর ইয়াসেও ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর। সাধারণ মানুষের জীবন জর্জরিত। তাই পুজোর সময় আর্থিক দিক থেকে আশার আলো খুঁজছেন পুজো কমিটিগুলি। তাই সুষ্ঠু ও সুরক্ষিত ভাবে পুজো যাতে করা যায় সেই চেষ্টাই করছে ফোরাম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন