/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/baji-1.jpg)
তুবড়ি বিস্ফোরণে মৃত্যুদের পরিবারকে ২ লক্ষ করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য।
গত রবিবার আলোর উৎসবের মাঝেই তুবড়ি ফেটে শহরে মৃত্যু হয় এক শিশু সহ দু’জনের। সেই ঘটনায় নিহত আদি দাস ও দীপকুমার কোলের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করে রাজ্য।
আরও পড়ুন: আলোক উৎসবের পর ‘দূষণ’ নিয়ে ঘুম ভাঙল শহর কলকাতার
কালীপুজোর দিন তুবড়ি ফেটে মারা যায় ঠাকুরপুরের পাঁচ বছরের শিশু। একই ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কলকাতার কসবায়। প্রাণ হারান বছর চল্লিশের দীপক কোলে। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার পর দীপক কোলের দুই ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/10/cats-1-1.jpg)
কালী পুজোর সন্ধ্যায় হরিদেবপুরের বাড়ির সামনেই বাজি পোড়াচ্ছিল আদি দাস। আতসবাজি দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছিল সে। ফুলঝুড়ির পাশাপাশি তুবড়িতে আগুনও দেয় আদি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমবার আগুন দেওয়ায় তুবড়িটি না জ্বলায় ফের তাতে আগুন দিতে যায় শিশুটি। সেই সময়ই তুবড়িটি হঠাৎই ফেটে যায়। তুবড়ির খোলের একাংশ ছিটকে লাগে আদির গলায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে আদির গলা থেকে তুবড়ির খোলের একাংশ বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। শোকস্তব্ধ ঠাকুরপুকুর বিদ্যাসাগর সরণির মাজি আবাসন।
আরও পড়ুন: চিটফান্ড দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পৈলান গ্রুপের চেয়ারম্যান
অন্যদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতেই তুবড়ি জ্বালাচ্ছিলেন কসবা কে এন সেন রোডের বাসিন্দা দীপকুমার কোলে (৪০)। তুবড়ির খণ্ডাংশ দীপকুমারের গলাতেও বিঁধে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই দীপকুমার কোলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কসবা এলাকায় একটি বইয়ের দোকান রয়েছে দীপকের।
Read the full story in English