হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারকে দিতে হবে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ। বৃহস্পতিবার এই মর্মে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করে জানাবেন বলেছেন প্রধান বিচারপতি। জনৈক আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের তরফে প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলাটি তুলেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় স্বজনহারাদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পরিবারের ১০ জনকে সরকারি চাকরিরও বন্দোবস্ত করে দেন তিনি। তিন্তু হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার কোনও আর্থিক এবং অন্য সরকারি সাহায্য পায়নি। তাই হাঁসখালির গণধর্ষিতা-নিহত কিশোরীর পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে এই মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিক, হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, ওই গেরুয়া কমিটির সদস্য রেখা ভার্মা সংবাদমাধ্যমের সামনেই নির্যাতিতা নাবালিকার কাছে নাবালিকার নাম জানিয়েছিলেন। তাই নিয়েই সোমবার মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন হাঁসখালি কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ, আইসি-কেই কাঠগড়ায় তুললেন মমতা
মামলাকারীর তরফে প্রশ্ন , হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চলছে। কিন্তু, সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দলের টিম কী ভাবে সমান্তরালভাবে তদন্ত করছে? এতে তদন্ত প্রক্রিয়াই প্রভাবিত হবে বলে মনে করেন মামলাকারী।
ওই টিমে ছিলেন মালদহের ইংলিশ বাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, সাংসদ রেখা ভার্মা-সহ মোট পাঁচ জন। এরপরই প্রকাশ্যে নাম বলে দেওয়া নিয়ে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।