Advertisment

''কমিউনিস্ট ও নকশাল হীন এবং নেশামুক্ত যাদবপুর ক্যাম্পাস গড়ে তোলার চেষ্টা করবে এবিভিপি''

মধ্যরাতে আরএসএস এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে যাদবপুর থানার পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

যাদবপুরকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল তিন এবিভিপি কর্মীকে। আটজনকে সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুরাজ সিং, সুব্রত হালদার এবং সানি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisment

সোমবার এবিভিপি-র মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল যোধপুর পার্ক। এই মিছিলকে সেদিন মাঝপথেই রুখে দেয় পুলিশ। এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন এবিভিপি সমর্থকরা। এই ঘটনার পর মধ্যরাতে আরএসএস এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে যাদবপুর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন:কলকাতা মেট্রোর নয়া ফরমান: যাত্রী স্বাগত, কিন্তু ভারী ব্যাগ দূর হঠো

পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া ও ইটের ঘায়ে এক মহিলা পুলিশকর্মী জখম করার অভিযোগে আটজনের নাম নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। এই গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে পশ্চিমবঙ্গ এবিভিপি-র সহ সভাপতি সুবীর হালদার বলেন, "এবিভিপির কর্মীদের মধ্যরাতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এটি পুলিশের অগণতান্ত্রিক মনোভাব। তৃণমূল এবং বামপন্থীদের অবৈধ অলিখিত পরিকল্পনার এটা ফলাফল। আমাদের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য (৩৩২ ও ৩৫৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করি ও সরকারকে ধিক্কার জানাই"। তাঁর আরও দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার কোনো ক্লাস হয়নি। সেদিন সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে শিক্ষামূলক আলোচনাও করতে দেওয় হয়নি এবং এবিভিপি ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেছে। এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে এবিভিপি কি বিশেষ আন্দোলন করবে? এই প্রশ্নের উত্তরে সুবীর হালদার জানান, "লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে আগামি দিনে আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হব এবং প্রয়োজনে স্বরাস্ট্র মন্ত্রককেও জানাব। কমিউনিস্ট ও নকশাল হীন এবং নেশামুক্ত যাদবপুর ক্যাম্পাস গড়ে তোলার চেষ্টা করবে এবিভিপি। রাজ্যপালের কাছে উন্মাদ যাদবপুরিদের বহিষ্কারের দাবিও জানাচ্ছি"।

আরও পড়ুন: অগ্নিমিত্রার নামে ‘অশালীন’ ফেসবুক পোস্ট, লালবাজারে ফ্যাশন ডিজাইনার

এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেতা দেবরাজ দেবনাথ বলেন, "যাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তারা বহিরাগত এবিভিপি কর্মী। প্রশাসন এভাবে কাজ করলেই ভালো। সবসময়তো তা আর হয় না। প্রশাসন উচিত কাজই করেছে। তবে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হল যেদিন যাদবপুরে ঘটনাটি ঘটে সেদিন রাতের দিকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটে উপস্থিত ছিল সেই গুন্ডারা কারা? আমরা বেশ কয়েকজনকে চিন্থিত করে পুলিশকে জানাই। কিন্তু এখনও তাদের গ্রেফতার করা হয়নি"।

আরও পড়ুন: যাদবপুরে বাবুল নিগ্রহকাণ্ড: এক নজরে গোটা ঘটনা

অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁর শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ক’দিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সেদিকে কর্ণপাত না করে পুলিশ এবিভিপির তিন কর্মীকে গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে অগ্নিমিত্রা বলেন, "এই তৃণমূল সরকারের আমলে তো এটাই হয়ে এসেছে। যারা মহিলার ওপর আক্রমণ করে, যারা মন্ত্রীকে মারধর করে, চুলের মুঠি ধরে টানা হ্যাঁচরা করে সেই সব ছেলেদের ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে ধরা হয় না। কারণ, এটা 'প্রি- প্ল্যানড অ্যাটাক' ছিল। যারা এর তীব্র প্রতিবাদ করে মিছিল করল, তাঁদেরই ধরা হল। অবশ্য এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে এমনটাই হয়ে এসেছে চিরকাল। তবে বেশিদিন এই ঘটনা চলবে আর না। খুব শিগগিরি এটা বন্ধ করব আমরা। পুলিশ এই ঘটনায় নিস্ক্রিয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃীতি নয় দুষ্কৃতি ছাত্র এঁরা"।

Babul Supriyo Jadavpur University
Advertisment