কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে আর কোনও মামলায় অংশগ্রহণ করবেন না সরকারি আইনজীবীরা। গঙ্গারামপুর পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত মামলা সোমবার গ্রহণ করেন বিচারপতি। তারপর এদিনই ৩টে নাগাদ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সরকারি পক্ষের আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বৈশ্য আদালতে জানিয়ে দেন, ‘‘কোনও সরকারি আইনজীবী আপনার কোর্টে মামলায় অংশগ্রহণ করবেন না’’। এক কথায় এদিন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন সরকারি আইনজীবীরা।
সরকারি আইনজীবীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক বিধাননগর, বনগাঁ, হালিশহর পুরসভা নিয়ে মামলার শুনানি হয়েছে সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেক্ষেত্রে বিচারপতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মন্তব্য করেছেন বলে সরকারি আইনজীবীদের অভিযোগ। আদালত এই ধরনের মন্তব্য করতে পারে না।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের ‘রক্ষাকবচের’ মেয়াদ ফের বাড়ালো হাইকোর্ট
আইনজীবী তথা সিপিআই(এম) নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, তাঁরা এই মামলা জিততে পারবেন না, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার সাংবিধানিক সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন। তবে বিচারপতি মামলাকারীদের বক্তব্য শুনে রায় দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে একপক্ষ হাজির না থাকলে তাই করে থাকেন বিচারপতিরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল গঙ্গারামপুর পুরসভায় অনাস্থা ভোট। সেখানে তিনজন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। পুরসভার উপ-পুরপ্রধান মঙ্গলবার অনাস্থা বৈঠক ডেকেছেন। এই কাউন্সিলররা মনে করেন, উপ-পুরপ্রধানের অনাস্থা প্রস্তাব ডাকার কোনও অধিকার নেই। এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এদিন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন করেন আইনজীবীরা। সেই মামলা গ্রহণ করে বিচারপতি জানিয়ে দেন, এদিনই বিকেল ৩টে নাগাদ মামলার শুনানি হবে। এর আগে এই এজলাসেই শুনানি হয়েছে বিধাননগর, বনগাঁ-সহ অন্যান্য পুর মামলার। এই সবক'টি মামলার ক্ষেত্রেই সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় 'রাজনৈকিত মন্তব্য' করেছেন বলে দাবি সরকারি আইনজীবীদের।
গঙ্গারামপুর পুর মামলার আবেদনকারী সরকারি আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বৈশ্য বিচারপতি সামাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে আর মামলায় অংশ নেবেন না বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপিতদের চিঠি দেওয়া হবে।