লোকসভাতেও হয়েছিল। বিধানসভাতেও শূন্য ছিল বামেরা। অবশেষে কলকাতা পুরভোটে আসন-খরা কাটাল বামেরা। শূন্যতে আর শেষ করেনি বামফ্রন্ট। ছোট লালবাড়িতে বামেদের বাতি জ্বালিয়ে রাখলেন দুই মহিলা প্রার্থী। ৯২ নম্বর ওয়ার্ডে মধুছন্দা দেব এবং ১০৩ নম্বরে নন্দিতা রায়। সিপিএম এবং সিপিআই প্রার্থী মান রাখলেন বামফ্রন্টের।
এবারের পুরভোটে বিজেপির তুলনায় ভাল লড়াই দিয়েছে বামেরা। দুপুর পর্যন্ত ট্রেন্ড বলছে, বামেদের মোট ভোট ১৩ শতাংশের কাছাকাছি। একুশের নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চা মুখ থুবড়ে পড়লেও পুরভোটে বাম-কংগ্রেস আলাদা লড়ে সম্মান রেখেছে। দুই পক্ষই দুটি করে আসনে জিতেছে।
সেই স্বাধীনতার আগে ১৯৪৬ সালে বাংলার বিধানসভায় জ্যোতি বসু এবং রতনলাল ব্রাহ্মণ, দুই প্রতিনিধি ছিলেন। তারপর কখনও বামশূন্য বিধানসভা দেখেনি বাংলার রাজনৈতিক মহল। একুশে তাও দেখেছে বাংলা। এরপর পুরসভাতেও শূন্যের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখালেন দুই মহিলা।
আরও পড়ুন কঠিন লড়াইয়ে বাজিমাত, ‘মানুষের হয়ে গেলাম’, ভোটে জিতে প্রতিক্রিয়া সজল ঘোষের
তবে এবারের পুরভোটে বামেরা দ্বিতীয় না তৃতীয় তা বিকেলের স্পষ্ট হবে, যখন ফলাফলের সমগ্র চিত্র প্রকাশ করবে কমিশন। তবে এটা বলাই যায়, প্রেস্টিজ ফাইটে নিজেদের মান রেখেছে বামফ্রন্ট। এই ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। এবং আরও বেশি করে কংগ্রেস-নির্ভরতা ভুলে একলা চলোর দাবি জোরদার হতে পারে কমরেডদের বৈঠকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন