কলকাতায় ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে পুলিশি জালে তিন অভিযুক্ত। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল পঙ্কজ প্রসাদ, ধ্রুব বসু ও সুরেন্দ্র তিওয়ারি। আজ ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের মধ্যে ২ জনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্য একজনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
উল্লেখ্য, রবিবার শহিদ মিনারে অমিত শাহের সভার দিন ধর্মতলায় ‘গোলি মারো’ স্লোগান শোনা যায়। যা ঘিরে তুমুল বিতর্ক বাধে বঙ্গ রাজনীতিতে। এ প্রসঙ্গে সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলকাতার রাস্তায় যারা স্লোগান দিয়েছে, রাতে ৩ জনকে গ্রেফতার করিয়েছি, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে’’। মমতা আরও বলেন, ‘‘যাঁরা গোলি মারো বলছেন, তাঁদের ভাষা দানবিক’’।
ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে আনা হল।ছবি: শশী ঘোষ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের নয়া চমক! ‘বাংলার গর্ব মমতা’ আদতে কী?
এ প্রসঙ্গে, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘দিল্লিতে দাঙ্গার আবহ দেখেছি। মমতার সৌজন্যে অমিত শাহ কলকাতায় এলেন। বিজেপি কর্মীরা গোলি মারো স্লোগান দিলেন। এই স্লোগান যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে রাজ্য সরকারকে’’। কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিজেপি গোটা দেশকে সর্বনাশ করে দেবে। খাস কলকাতার বুকে গোলি মারো স্লোগান দিচ্ছে। ওদের সভার কেন অনুমতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, জানি না। অন্য কেউ করতে পারছেন না সভা। মমতার দ্বিচারিতা রাজনীতি বন্ধ হোক। অমিত শাহের মিছিলে গোলি মারো স্লোগান যারা দিয়েছে, তাদের জেলে ভরা উচিত সরকারের। রাজ্য রসাতলে যাচ্ছে’’।
আরও পড়ুন: ‘দিল্লি হিংসা পরিকল্পিত গণহত্যা’, বিস্ফোরক মমতা
উল্লেখ্য, শনিবার দিল্লির রাজীব চক মেট্রো স্টেশনে একদল যুবক ‘দেশ কে গদ্দারোকো – গোলি মারো সালে কো’ স্লোগান দেন। এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনার পরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। স্লোগানধারীদের ধরে মেট্রো পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন