প্রায় তিন ঘণ্টা পর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এল ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের কারখানায় আগুন। রবিবার দুপুরের পর সেখানে আগুন লাগে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ঘটনাস্থলে একে একে এসে পৌঁছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত আগুন আয়ত্তে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা।
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, “দমকল লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১০টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে। আরও কিছু ইঞ্জিন রাস্তায় রয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় কাজের সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।” উল্লেখ্য, মাস দেড়েক আগে এই ট্যাংরাতেই অন্য একটি রাস্তায় আগুন লেগেছিল। সেবার ১৭-১৮ ঘণ্টা লেগেছিল আগুনকে আয়ত্তে আনতে। অনেক দমকলকর্মী আহত হয়েছিলেন। বার বার কেন ট্যাংরায় আগুন লাগছে, তাতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের একাংশ।

জানা গিয়েছে, ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে একটি কারখানায় আগুন লাগে। আশেপাশে ঘন জনবসতি, নির্মীয়মাণ ফ্ল্যাট রয়েছে। স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। জোরকদমে আগুন নেভানোর কাজ করছে দমকল। পুলিশের তরফে আশ্বস্ত করা হয়েছে, দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণের সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। দমকল বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও হাত লাগিয়েছেন আগুন নেভানোর কাজে।

আরও পড়ুন সংস্কারের কাজের জের, আজ রাত থেকেই বন্ধ তারাতলা উড়ালপুলের একটি লেন
কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা নেই। কিন্তু মনে করা হয়েছে, কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থেকে এই আগুন ছড়িয়েছে। প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের পাঁচটি দমকল ইঞ্জিন। পরে আরও পাঁচটি ইঞ্জিন আসে। উল্লেখ্য, মাস দেড়েক আগে ট্যাংরার মেহের আলি লেনের একটি গুদামে আগুন লেগেছি। সেই আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলের বেশ কয়েকজন কর্মীও আহত হন। প্রায় ১৭-১৮ ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।