পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে বাংলার মৎস্য প্রেমীদের জন্য নলবনে চালু করা হচ্ছে একটি রেস্তোরাঁ, নাম হবে 'ভুরিভোজ', যেখানে সস্তায় মাছের বিভিন্ন পদ চেখে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার এই নতুন রেস্তোরাঁর উদ্বোধন করে মৎস্য দফতরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমরা চেয়েছি, কম বাজেটে মৎস্যপ্রিয় বাঙালি একটা অন্য পরিবেশে বসে যাতে খাওয়া উপভোগ করতে পারেন।"
কী কী রয়েছে এই রেস্তোরাঁতে?
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই রেস্তোরাঁতে আছে গার্ডেন ক্যাফে। এমনকি ওয়াটার সাইড দেখতে দেখতেও খাদ্যরসিকরা মাছের বিভিন্ন পদ উপভোগ করতে পারবেন। দাম নূন্যতম, এমনটাই জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছানুসারে কোনও আমদানি করা মাছ ব্যবহৃত হচ্ছে না এই রেস্তোরাঁয় বলে জানিয়েছেন দফতরের আধিকারিকরা। সুতরাং নলবন, আলমপুর, হেনরি আইল্যান্ডের মাছই ব্যবহার করা হবে এই রেস্তোরাঁয়। রুই, কাতলা, পাবদা, ভেটকি, ভাঙ্গর, পার্শে, ইত্যাদি মাছ মিলবে মেনুতে। আছে ওপেন কিচেনও। তবে শুধু মাছ নয়, খাদ্যপ্রেমীদের জন্য থাকবে হরেক রকম অন্যান্য খাবার। মোগলাই থেকে চাইনিজ, সব ধরনের পছন্দের খাদ্য থাকবে রেস্তোরাঁতে।
ভুরিভোজের অভ্যন্তর
আরও পড়ুন, কলকাতায় অবৈধ অনলাইন লটারি চক্রের পর্দাফাঁস, পুলিশের জালে ধৃত সাত
কেমন হবে এই খাবারের দাম?
মূলত আইটি সেক্টর এবং সল্টলেকে কর্মরত মানুষদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই খাওয়ারের দাম রাখা হয়েছে কম। যেমন ফিস থালি পাওয়া যাবে ৮৩ টাকায়, আবার সকলের পছন্দ ফিস ফ্রাই পাওয়া যাবে ৫৩ টাকায়। এছাড়াও অন্যান্য থালিও পাওয়া যাবে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে। তবে মৎস্য দফতরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, দাম স্বল্প হলেও গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোনও আপোষ করা হবে না। অতএব বাঙালির মাছ-ভাতের চাহিদা কতটা পূরণ করতে সক্ষম হয় ভুরিভোজ, সেদিকে তাকিয়ে শহরের খাদ্যরসিকেরা।