/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/09/Ahiritola-Building-collapsed.jpg)
বুধবার ভোরে ৯ নম্বর আহিরিটোলা স্ট্রিটে একটি পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই উত্তর কলকাতার একটি পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ল। বুধবার ভোরে ৯ নম্বর আহিরিটোলা স্ট্রিটে একটি পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। শিশু-সহ বেশ কয়েকজন আটকে পড়েন বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে। উদ্ধারকাজে নামে পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় মেলে সাফল্য। উদ্ধার করা হয় শিশু-সহ মোট ৯ জনকে। কিন্তু হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই শিশুর। সাত ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছিল তাকে।
ভেঙে পড়া চাঙড় কেটে আটকে পড়া মানুষদের বের করে আনার চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে বসবাসকারী যুবক তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তান আটকে পড়েন দুর্ঘটনার জেরে। স্বামী-স্ত্রীকে বাইরে বের করে আনা হলেও শিশুকে প্রথমে বের করা যায়নি। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়ে ওই শিশু। তার সঙ্গে আরও চারজন আটকে ছিলেন বলে খবর। একতলার দেওয়াল ভেঙে তারপর বের করা হয় সবাইকে।
প্রবল বৃষ্টিতে কলকাতায় ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি।#Kolkatapic.twitter.com/FAk8ffJhve
— Indian Express Bangla (@ieBangla) September 29, 2021
ঘটনাস্থলে সকালেই চলে আসেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, "প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। পরিবারের কয়েকজনকে বের করে আনা হয়েছে। এক বৃদ্ধা এবং শিশু ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছেন। বাড়িটি পুরনো হলেও বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল না। উদ্ধারকারীরা সবরকম চেষ্টা করছেন।" পরে ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। উদ্ধারকাজ তদারকি করেন তিনি।
আরও পড়ুন প্রচারের শেষ দিনে ভবানীপুরে গন্ডগোল, ধৃত ৮ জনের জামিন মঞ্জুর
এদিন ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার সৌমেন মিত্র। জরাজীর্ণ এই বাড়িটি এদিন ভোর সাড়ে ছটা থেকে পৌনে সাতটা নাগাদ ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে চলে আসে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। প্রথমে চারজনকে উদ্ধার করা হয় ধ্বংসস্তূপ থেকে। শিশু-সহ আরও একজন আটকে পড়ার খবর মেলে। শেষে এক এক করে সবাইকে উদ্ধার করা হয়। ফিরহাজ হাকিম জানান, "একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। সবাইকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন