183th, 184th & 185th Championship Dog Show: বিবেকানন্দ পার্কে ক্যালকাটা কেনেল ক্লাব আয়োজিত ১৮৩, ১৮৪ ও ১৮৫ তম চ্যাম্পিয়নশিপ ডগ শো-এ বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করল কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াড-এর দুই সারমেয় সদস্য তথা সহকর্মী মিলি (জার্মান শেফার্ড) এবং কোরাল (গোল্ডেন রিট্রিভার)। দুজনের ‘হ্যান্ডলার’ হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন মিলির জন্য কনস্টেবল প্রতীক সতপথি ও কোরালের জন্য কনস্টেবল কবীন্দ্র লামা।
‘ওবিডিয়েন্স টেস্ট’ অর্থাৎ বাধ্যতার পরীক্ষায় ‘প্রি-বিগিনার’ বিভাগে দ্বিতীয় এবং সমগ্রভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে মিলি। আর, একই পরীক্ষায় ‘বিগিনার’ বিভাগে দ্বিতীয় স্থানে এবং সামগ্রিকভাবে তৃতীয় স্থানে উত্তীর্ণ হয়েছে কোরাল। ১১ জানুয়ারি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। যথারীতি পুরস্কার পেয়ে রীতিমতো খুশির জোয়ার কলকাতা পুলিশে। কলকাতা পুলিশের এই ডগ স্কোয়াড ১৯৭১ সালে তৈরি হয়েছে। এই স্কোয়াড অতীতে বহু নজির সৃষ্টি করেছে। অপরাধীদের ধরা থেকে উদ্ধারকাজ, সবেতেই কলকাতা পুলিশ তাদের ডগ স্কোয়াডের ওপর ভীষণভাবে ভরসা করে।
সাধারণত ডগ স্কোয়াডে সারমেয়দের চাকরির বয়সসীমা মাত্র আট বছর। মাত্র দেড় বছর বয়সেই পুলিশের চাকরিতে যোগদান করে থাকে ডগ স্কোয়াডের সারমেয়রা। তাদের কর্মক্ষমতা বিচারের জন্য রয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। সেই বোর্ডের বিচারের ওপর নির্ভর করেই সারমেয়দের অবসর গ্রহণ করতে দেওয়া হয়। কয়েক মাস আগেই কলকাতা পুলিশে দুই দফায় ১৩টি সারমেয় অবসর নিয়েছিল। তারপর নতুন সারমেয় কেনার জন্য বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ।
এরপর ২০২২-এর শীতকালে চণ্ডীগড় থেকে কলকাতা পুলিশ কয়েকটি সারমেয় শাবক কিনেছিল। এরপর খরচ বাঁচাতে কলকাতা পুলিশ ব্রিডারদের থেকে সারমেয় শাবক কেনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে ব্রিডারদের শর্তও দিয়ে রেখেছে, কেনার ৬ মাসের মধ্যে কোনও শাবকের মৃত্যু হলে, তার জায়গায় অন্য সারমেয় শাবক কলকাতা পুলিশকে দিতে ব্রিডাররা বাধ্য থাকবেন। ব্রিডাররা যদি অন্য কোনও বাহিনীকে সারমেয় জোগান দিয়ে থাকেন, তবে সেই ব্রিডারকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছিলেন পুলিশকর্তারা। কলকাতা পুলিশ সাধারণত প্রতিটি ল্যাব্রাডার শাবকের জন্য খরচ করে ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর, প্রতিটি জার্মান শেফার্ডের জন্য খরচ করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন- এ এক অন্য রামমন্দির, যেখানে শ্রীরামের রং কালো, পিছনে বিরাট ইতিহাস, কী সেটা?