টালা ব্রিজে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ভারী যান চলাচল। তবে এখনই পুরোপুরি ব্রিজ বন্ধ করা হচ্ছে না হেমন্ত সেতুতে। শুধুমাত্র ছোটো গাড়ি চলবে টালা ব্রিজে। ৩ টনের বেশি ওজনের গাড়ি যাতায়াত করবে না। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে কলকাতা থেকে উত্তর শহরতলিমুখী ও বিপরীতে রুটে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। আজই টালা ব্রিজ পরিদর্শন করতে পারেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা।
ঠিক কী বলেছেন ফিরহাদ হাকিম?
নবান্নে বৈঠক শেষে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘রাইটস ও পূর্ত দফতরের বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব মেনেই টালা ব্রিজে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র ছোটো গাড়ি চালানো হবে। মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন। পুজো পর্যন্ত এমনটাই করা হবে। পুজোর পর আবার এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’’। এ প্রসঙ্গে পরিবহণ সচিব জানান, ‘‘ওই ব্রিজে প্রায় ৬০০-র বেশি বাস চলে। সেগুলি আর চলবে না। বিকল্প রুট তৈরি করা হচ্ছে। কিছু বাসকে ঘোরানো হবে। ওই এলাকার মানুষের কথা মাথায় রেখে ট্রেন ও মেট্রো রেলকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, যাতে বেশি সংখ্যক ট্রেন চালানো হয়’’।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোর নয়া ফরমান: যাত্রী স্বাগত, কিন্তু ভারী ব্যাগ দূর হঠো
সরকারি বিজ্ঞপ্তি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি টালা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ভারতীয় রেলের অধীনস্থ পরামর্শদাতা সংস্থা রাইটস। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন মেরামত না করার ফলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে টালা ব্রিজ। ফলে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ব্রিজটি। উৎসবের মরশুমে তাই বড়সড় বিপদ এড়াতেই প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, টালা ব্রিজের মতো ব্যস্ততম পথে বাস চলাচল বন্ধ করার ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে পারেন নিত্যযাত্রীরা, এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।