'কেউ যেন অভুক্ত না থাকেন'-এই লক্ষ্য়ে অবিচল থেকে গত ৪৫ দিন ধরে লকডাউনে হাজার হাজার মানুষের মুখে আহার তুলে দিচ্ছে কলকাতার গুরুদ্বারগুলো। শুধু খাবারই নয়, রেশনের সামগ্রীও পৌঁছে দেওয়ার উদ্য়োগ নিয়েছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত ৪ লাখেরও বেশি খাবার তাঁরা বিতরণ করতে পেরেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বেহালা গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা ইন্ডিয়ান হিউম্য়ানিটেরিয়ান অ্য়াসিস্ট্য়ান্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্য়ান সতনাম সিং অহলুওয়ালিয়া জানিয়েছেন, ''একে অপরকে সাহায্য় করার সময় এখন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি আমরা বুঝি। কিন্তু তাই বলে, মানবিক দূরত্ব বাড়বে, তেমনটা হওয়া ঠিক নয়''।
আরও পড়ুন: বাংলায় করোনায় মৃত বেড়ে ৭৯, চিকিৎসাধীন ১১০১
লাঞ্চ-ডিনারের পাশাপাশি রেশন সামগ্রীও সরবরাহ করছে গুরুদ্বারগুলো। যাঁরা নিজেদের বাড়িতে খাবার তৈরি করতে পারছেন, তাঁদের জন্য় রেশন সামগ্রী বিতরণ করছে গুরুদ্বারগুলো। রোজ খাবার তৈরি করছে বেহালা গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি। ৪টি মোবাইল ইউনিটে করে কলকাতা রেসপন্স গ্রুপ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা খাবার বিতরণ করছে।
এ প্রসঙ্গে অহলুওয়ালিয়া আরও জানান, ''যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছোতে পারি, সেই চেষ্টাই করছি আমরা। আমরা চাই না, কেউ অভুক্ত থাকুক। যদি আমরা জানতে পারি, কারও খাবার বা ওষুধের প্রয়োজন রয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি সেই প্রয়োজন মেটাতে। বেবি ফুডও বিতরণ করছি আমরা। সাহায্য় করতে পেরে আমরা খুশি। লকডাউনের সময়সীমা যদি বাড়েও, তাহলেও আমরা এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি''। পুলিশ কর্মী, হাসপাতাল, কলকাতা পুরসভার কর্মী, নিরাপত্তারক্ষীদের চা-বিস্কুটও দিচ্ছে তারা।
তিনি আরও জানান, ''গুরুদ্বারের রান্নাঘরে ১৫ জনের মতো কাজ করছেন রোজ। একঘণ্টার জন্য় স্থানীয় মহিলাদের রাখা হচ্ছে রুটি বানানোর জন্য়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সমস্ত নিয়ম মেনে আমরা এ কাজ করছি''। বেহালার গুরুদ্বারে রোজ প্রায় ৪ হাজার মানুষের জন্য় খাবার তৈরি করা হচ্ছে। হাওড়ার সাঁতারাগাছিতে আরও হাজার খানেক মানুষের জন্য় খাবার তৈরি করা হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আরও ১৫০০ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন