প্রয়াত শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কৃষ্ণা বসু। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। অসুস্থতার দরুণ গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই এদিন সকলে জীবনাবসান হয় তাঁর। গান স্যালুটে সম্মান জানানো হবে কৃষ্ণা বসুকে, শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নেতাজি ভবনে গিয়ে কৃষ্ণা বসুকে শ্রদ্ধা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুরে কৃষ্ণা বসুর দেহ আনা হয় তাঁর এলগিন রোডের বাড়িতে। বিকেল তিনটে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাঁর দেহ অন্তিম শ্রদ্ধার জন্য সেখানেই শায়িত থাকবে। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে হবে শেষকৃত্য।
আরও পড়ুন: তাপস পালের মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার! বিস্ফোরক মমতা
২৬ জানুয়ারি ১৯৩০ সালে ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর স্বামী ছিলেন সুভাষচন্দ্র বসুর বড় ভাই শরত্চন্দ্র বসুর পুত্র শিশির বসু। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যের উপর এম এ পাশ করেন। ৪০ বছর ধরে সিটি কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। পরবর্তীতে আট বছর সামলেছেন সিটি কলেজের অধ্যক্ষ পদও।
যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন কৃষ্ণা বসু। পর পর তিনবার ওই কেন্দ্র থেকেই জয় পান তিনি। ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেন কৃষ্ণা হসু। পরে ১৯৯৮ ও ৯৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে জিতে লোকসভায় যান তিনি। বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারপার্সন পদেও ছিলেন বাংলার এই সাংসদ। কৃষ্ণা বসুর মৃত্যুতে বাংলার রাজনীতিতে শোকের ছায়া।
কৃষ্ণা বসুর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে তিনি লিখেছেন, এক ভালবাসার মানুষকে হারালাম। তাঁর আকস্মিক চলে যাওয়ায় বাকরুদ্ধ এবং শোকাহত। নেতাজি পরিবারের সদস্য ছাড়াও তিনি ছিলেন সমাজ সংস্কারক, কবি এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তৃণমূল পরিবারের কাছে মায়ের মতো ছিলেন তিনি। বাংলার সংস্কৃতি এবং সমাজে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। '
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন