এক শ্রেণির মানুষ যেন চাতক পাখির মত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। শুধু সরকারি ঘোষণা হওয়ার বাকি ছিল। সোমবার সকাল হতে না হতেই মহানগরের বিভিন্ন মদের দোকানে দীর্ঘ লাইন পড়ে গেল। তবে দিনভর সামাজিক দূরত্বের কোনও তোয়াক্কা না করেই চলে মেদের কেনা-বেচা। মদের লাইন সামলাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে পুলিশ। মাদকতার সেই ছোঁয়া লেগে যায় সোশাল মিডিয়ায়ও।
মদের দোকান খুলবে কি খুলবে না তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। মদের অনলাইন ডেলিভারি দেওয়া হবে এমন খবরে আশার আলো দেখেছিল অনেকে। কিন্তু সেই খবর ঠিক নয় বলে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। যাই হোক অবশেষে খুলে গেল মদের দোকান। তাছাড়া অনলাইন ডেলিভারিও এবার চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- মদের দোকান খুলেছে, কিন্তু কেনার নিয়ম জানেন তো?
সোমবার কলকাতা কর্পোরেশন এলাকা থেকে নিউআলিপুর, কালিঘাট থেকে ঢাকুরিয়া সর্বত্র সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। কালিঘাটে গ্রাহকদের লাইন এতই ভিড়ে ঠাসা হয়ে যায় ভিড় হঠাতে হয় পুলিশকে। এই ভিড়ের কারণে কিছু দোকানের মালিক জানিয়ে দেয়, পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়া দোকান খোলা সম্ভব নয়। কিছু ক্ষত্রে দেখা গিয়েছে হাতে কুপন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ যাঁরা মদ পায়নি তাঁরা আগামী কাল কিনতে পারবে। কেনার ছাড়পত্র ওই কুপন। এক গ্রাহক রাজু রায় বলেন, "সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছি। ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। এত চাহিদা যে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না।"
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এদিন শহর বা শহরতলির অনেক মদের দোকানেই সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। রেড জোন এলাকায় বাজারগুলোতে যেখানে নিয়ন্ত্রন রাখার চেষ্টা চলছে সেখানে এমন অবস্থা দেখে শহরবাসী হতবাক। আতঙ্কিতও। আবগারি দফতরের এক কর্তার কথায়, "বছরের শেষে মদের কারবার বন্ধ রাখায় এমনিতে সরকারের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এখন কোনও সরকারি দফতরের রাজস্ব আদায় নেই। সব বন্ধ। সেক্ষেত্রে এর ফলে কিছু রাজস্ব আদায় হতে পারে।"