নারদকাণ্ডের তদন্তে এবার পুরসভার তিন আধিকারিককে তলব করল সিবিআই। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার তিন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। এই তিন আধিকারিকের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন ওএসডি অম্লান লাহিড়ি। পাশাপাশি এদিন নিজাম প্যালেসে আরও দু’জন আধিকারিক দীনদয়াল সিং ও প্রিয়জিৎ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন: রোজভ্যালিকাণ্ডে প্রসেনজিতের পর ঋতুপর্ণাকে তলব ইডির
প্রসঙ্গত ২ দিন আগেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি পাঠায় সিবিআই। ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত কারা কারা ভিআইপি করিডরে ডিউটি করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে সিবিআই দফতরে পাঠানোর কথা চিঠিতে লেখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, ওই সময়কালে বেশিরভাগটাই মেয়র পদে ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মূলত প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবেই পুর আধিকারিকদের তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রসেনজিৎকে তলব ইডির, রোজভ্যালিকাণ্ডে নাম জড়াল নায়কের
কী কারণে জিজ্ঞাসাবাদ?
সিবিআই সূত্রে খবর, নারদ মামলায় ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ভিআইপি করিডর হয়েই পুরসভায় মেয়রের চেম্বারে গিয়েছিলেন নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। সেদিন আসলে কী কী হয়েছিল? কারা কারা ম্যাথুর সঙ্গে ছিলেন? এ ব্যাপারেই ওই ৩ আধিকারিকের থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, ম্যাথু স্যামুয়েল যেদিন গিয়েছিলেন, সেসময় পুরসভার সিসিটিভি ফুটেজ ছিল না। তাই নিজের চোখে কী দেখেছেন ওই আধিকারিকরা, এ বিষয়েই জানতে পারে সিবিআই। অন্যদিকে, ম্যাথু যে ভিডিও ফুটেজ জমা দিয়েছেন, সেখানে একাধিক জায়গায় বিভিন্ন ব্যক্তির কন্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে, তাঁদের ছবি নেই। ফলে কন্ঠস্বর শুনে ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও এদিন করা হতে পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, এর আগে নারদ মামলার তদন্তে নেমে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। শোভন আঙুল তুলেছিলেন তাঁর স্ত্রী রত্নার দিকে। শোভন-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় শ্রেয়া পান্ডের নাম উঠে এসেছিল। নারদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।