অনশনরত শিক্ষকদের সামনেই 'আহারে বাংলা'

'এরকমভাবে বাঁচার কোনও মানে হয় না। এবার আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো। আন্দোলন তুলতে হলে ন্যায্য বেতনের চিঠি পেলে তবেই উঠব।’

'এরকমভাবে বাঁচার কোনও মানে হয় না। এবার আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো। আন্দোলন তুলতে হলে ন্যায্য বেতনের চিঠি পেলে তবেই উঠব।’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

''রাজ্যের কোষাগরে পয়সা না থাকলে এত বড় একটা মেলার আয়োজন কীভাবে করল মমতা সরকার''? প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষকরা। সমকাজে সমবেতনের দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে অনশনে বসেছেন রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের একটা বড় অংশ। এদিকে, মঙ্গলবার থেকে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের সামনেই শুরু হল বাংলার খাদ্য মেলা উৎসব 'আহারে বাংলা'। ১১ নভেম্বর থেকে বিকাশ ভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক। এরপর, ১৫ নভেম্বর থেকে আমরণ অনশনের ডাক দেয় তাঁরা। মঙ্গলবার পাঁচদিনে পড়েছে এই অনশন। ইতিমধ্যে ছয় জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্যমঞ্চের সভাপতি ভাগীরথ ঘোষ। মঙ্গলবারও এক পার্শ্বশিক্ষককে সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisment

অনশনের আগেই তাঁদের এই আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে বেতন পরিকাঠামো না ঠিক হলে কোনও ভাবেই তাঁরা আন্দোলন তুলবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। পার্শ্ব শিক্ষকদের ঐক্যমঞ্চ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, 'দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে, আধ পেটা খেয়ে, সন্তান ও পরিবারকে কষ্ট দিয়ে বেঁচে থাকা যায় না। কেন আমরা আমাদের ন্যায্য বেতন পাব না? কেন আমরা সঠিক বেতন কাঠামো থেকে বঞ্চিত হব?'

আরও পড়ুন: ‘মানুষের জন্য কাজ না করলে কাউকে বরদাস্ত করব না’, প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া বার্তা মমতার

পার্শ্ব শিক্ষক অতনু মজুমদার বলেন, 'এরকমভাবে বাঁচার কোনও মানে হয় না। এবার আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো। আন্দোলন তুলতে হলে ন্যায্য বেতনের চিঠি পেলে তবেই উঠব।’

Advertisment

ভাগীরথবাবু বলেন, 'কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের অনুমতিতে সাতদিনের জন্য অবস্থান বিক্ষোভ চলার কথা ছিল। রবিবার কোর্ট খোলে এবং কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সেখানে সাত দিন বা অনির্দিষ্টকাল সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না। হাইকোর্ট মঙ্গলবার সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব আলোচনায় বসার নির্দেশ দেয়'। অন্যদিকে, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে খাদ্য মেলা শুরু করার পরিকল্পনা সেরে ফেলা হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। মেলাস্থলের পাশেই চলছে এই অনশন আন্দোলন।

kolkata news