"পার্শ্বশিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থিক তহবিল গায়েব করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষকরা প্রকৃত বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।" সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে ধরনা-অবস্থান থেকে এই দাবি করলেন পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ। তাঁর দাবি, "প্রতিমাসে আমরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।"
সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে সোমবার থেকে লাগাতার ধরনায় বসেছেন রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকরা। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই তাঁরা সেখানে আন্দোলন করছেন। রাতেও চলছে অবস্থান। সমকাজে সম বেতন, এই দাবি নিয়েই তাঁরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার পার্শ্বশিক্ষক অবস্থানে এসে যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী কুকুর হত্যায় অভিযুক্ত মহিলা গ্রেফতার
পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "আমাদের দাবি না মিটলে এই অবস্থান আন্দোলন চলবে। কোনও ভাবেই ধরনা প্রত্যাহার করা হবে না। আমাদের সমকাজে সমবেতনের দাবি মানছে না রাজ্য সরকার। প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার আন্দোলনকারী ধরনায় বসছেন। পালা করে বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকরা আসছেন।" এই আন্দোলনের ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে না? ভগীরথ ঘোষ বলেন, "আমরা সকলে ছুটি নিয়ে এখানে আসছি। স্কুল ফাঁকি দেওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে আমাদের দাবি না মানলে লাগাতার আন্দোলন চলবে"।
তবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা। ভগীরথবাবুর দাবি, "প্রাথমিক পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য শিক্ষাখাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ হিসাবে পাঠানো হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। আর বাকি ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। সেখানে ইপিএফ কেটে আমরা হাতে পাচ্ছি ৮ হাজার ৮৮০টাকা। একইরকম ভাবে উচ্চপ্রাথমিকে কেন্দ্র দিচ্ছে ২০ হাজার টাকা, রাজ্যের দেওয়ার কথা ১৩ হাজার টাকা। মোট প্রাপ্য ৩৩ হাজার টাকা। সেখানে মিলছে ইপিএফ কেটে ১১ হাজার ৩৩০টাকা।" তাঁর অভিযোগ, "এই মোটা টাকা ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে রাজ্যে এসেছে। এর আগেও এই তহবিল এসেছে।" এই মোটা অর্থ গায়েব হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পার্শ্বশিক্ষক সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নের জবাব দেবেন না।