পূর্ণ হয়েছে স্বাধীনতার ৭৪ বছর। তবে রয়ে গেছে নানান স্মৃতি। স্বদেশি আন্দোলন এবং বঙ্গভঙ্গ ইতিহাসের পাতায় আজও বেশ উজ্জ্বল। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষেই কলকাতায় অভিনব ট্রাম নামাল কলকাতা ট্রাম কর্পোরেশন। নাম দেওয়া হয়েছে পার্টিশন মিউজিয়াম।
এই সপ্তাহের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করেন এই পার্টিশন মিউজিয়াম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন লর্ড মেঘনাদ দেশাই এবং কিশোয়ার দেশাই, মল্লিকা আহলুওয়ালিয়া ছাড়াও পার্টিশন মিউজিয়ামের কিউরেটর এবং সিইও।
এই সংগ্রহশালাটি নির্মাণ করা হয়েছে দুটি ট্রামের ওপর ভিত্তি করে। প্রথম ট্রামে ১৯০০ সাল থেকে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধের নানান স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ১৯০০ থেকে ১৯৪৭-এর সময়কালের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলির উপর নির্ভর করে স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর এর নানান চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। দ্বিতীয় ট্রামে দেশভাগের পরে ঘটে যাওয়া দেশান্তর এবং উদ্বাস্তু সমস্যার মনোনিবেশ করে স্বাধীনতার পরবর্তী পরিস্থিতি নির্দেশ করে। এই সংগ্রহশালাটি এই বছরের শেষ পর্যন্ত এসপ্ল্যানেডে প্রদর্শিত হবে।
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভারত শান্তিপূর্ণ দেশ। বাংলা বিবিধের মাঝে ঐক্য ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাস রাখে। ট্রামবেষ্টিত এই সংগ্রহশালা বাংলার নৈতিকতার প্রতিফলন ঘটায়। এটি স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার ভূমিকাকে তুলে ধরে। মিউজিয়াম অন হুইলস বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং জাতীয় মানসিকতার উপর বাংলা ও পাঞ্জাব বিভাজনের প্রভাবকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন ফের চাঁদনি রাতে ‘মায়াবী’ তাজ-দর্শন, অপেক্ষার অবসান শনিবার থেকে
১লা জানুয়ারি, ২০২২ থেকে মিউজিয়ামটি শহরের নানান প্রান্তে ঘুরবে। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ সচিব রাজেশ সিনহা বলেন, জাদুঘরটি স্বাধীনতা আন্দোলন এবং বঙ্গ ও পাঞ্জাব রাজ্যের উপর দেশভাগের প্রভাবকে তুলে ধরেছে। মল্লিকা আহলুওয়ালিয়া বলেন, কলকাতায় মিউজিয়াম প্রদর্শনের এই সুযোগ পেয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। কলকাতার ট্রামের নিজস্ব সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং ঐতিহ্য রয়েছে। কলকাতার মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানোর এই উদ্যোগ হাতছাড়া করতে চান না তিনি।
বাংলার স্বাধীনতা এবং মুক্তির ইতিহাস জানা প্রায় অনেকেরই। তারপরেও এই মিউজিয়াম তুলে ধরবে আরও অজানা কিছু তথ্য। পরের বছর গোটা শহর জুড়ে এটি পৌঁছে যাবে মানুষের কাছে, তবে এসপ্ল্যানেডে এসে ঢুঁ মারা যেতেই পারে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন