মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের উঠল হামলার অভিযোগ। এবারও নিশানায় রোগীর পরিজন, তবে ঘটনাস্থল এসএসকেএম হাসপাতাল। সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালে এক রোগীর পরিবার চড়াও হন এক নিরাপত্তাকর্মীর ওপর। ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। রোগীকে নিয়ে যাওয়ার ট্রলি না পাওয়ায় নিরাপত্তারক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে হাসপাতাল চত্বরে।
সবে একমাস পূর্ণ হয়েছে এনআরএস কাণ্ডের, যার জেরে এক সপ্তাহ ধরে নজিরবিহীনভাবে একজোট হয়ে কর্মবিরতি পালন করেন পশ্চিমবঙ্গের ডাক্তাররা। আন্দোলনের তীব্রতা এতটাই, যে তাতে সামিল হন দেশের অন্যান্য রাজ্যের চিকিৎসকরাও। ঘটনার সূত্রপাত হয় ১০ জুন রাতে এনআরএসে মৃত এক রোগীর পরিজনরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হওয়ার পর।
আরও পড়ুন: কাটল এনআরএস জট, সরকারের আশ্বাস নিয়ে আশাবাদী ডাক্তাররা
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণচন্দ্র বাগচী নামে হাওড়ার এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় জরুরি বিভাগে। রোগীর পরিবার কার্ডিওলজি বিভাগে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি চান নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে। কিন্তু সঠিক সময়ে ট্রলি না পাওয়ায় রোগীর পরিবারকে অপেক্ষা করতে বলেন তাঁরা। তার জেরেই রোগীর পরিবারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন নিরাপত্তারক্ষী অমৃত রায়। অভিযোগ, তাঁকে একাধিক বার 'থাপ্পড় মেরে' কান থেকে রক্ত বের করে দেন রোগীর পরিবারের এক সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে রোগীর পরিবারের দুই সদস্যকে আটক করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে রোগীর পরিবারের দাবি, ট্রলি না পাওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যান নারায়ণচন্দ্র বাগচী। কিন্তু কেন পর্যাপ্ত ট্রলি ছিল না? এসএসকেএমের সুপার ডাঃ রঘুনাথ মিশ্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "ট্রলি কম নয়, ট্রলি অজস্র আছে। কিন্ত ট্রলি ঠিক করে পরিচালনা করা হয় না। রোগীর পরিবার বা ট্রলি বয় যাঁরা থাকেন, তাঁরা রোগীকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পর সেই জায়গাতেই ট্রলি রেখে চলে আসেন। সেই কারণে প্রয়োজনে ট্রলি পাওয়া যায় না।"
রঘুনাথবাবু আরও বলেন, "এটি প্রথম ঘটনা নয়, রোজই কিছু না কিছু ঘটনা ঘটছে। আমরা আজ সন্ধে ছয়টার সময় পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, কারণ যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন সামনে কোনো পুলিশ ছিল না।"