Rajeev Kumar Updates: আলিপুর আদালতে রাজীব কুমার মামলার শুনানি শেষ হল। আর কিছুক্ষণ পরই রায় শোনাবেন বিচারক। এদিন রাজীবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার দাবি জানিয়েছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। তাঁর সওয়ালের প্রেক্ষিতে বিচারক বলেন, সুপ্রিম কোর্ট-কলকাতা হাইকোর্ট উভয়েই যখন প্রয়োজনে গ্রেফতারের অনুমতি দিয়েছে, তাহলে ফের কেন এই আবেদন। সিবিআই-এর আইজীবী তখন বলেন, তাঁরা জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইছেন। বিচারক এরপর জানতে চান, কেন জামিন অযোগ্য পরোয়ানা চাইছেন তাঁরা? উত্তরে তিনি বলেন, দাউদ ইব্রাহিমের মামলাতেও এমন আবেদন জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে, রাজীবকুমারের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল আগে থেকেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে তিনি ২৫ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন এবং তদন্তের প্রতিটি পর্যায়ে তিনি সাহায্য করেছেন। রাজীব কুমার পলাতক নন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাহলে সিবিআই কেন এই পদক্ষেপ করছে? দু'পক্ষের এই সওয়াল শোনার পর বিচারক আপাতত রায় স্থগিত রেখেছেন।
এদিকে, রাজীব কুমারকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের টানটান নাটক শুরু হয়েছে। কলকাতার প্রাক্তন নগরপালের খোঁজে বৃহস্পতিবার বিকেলে বাইপাসের এক পাঁচতারা হোটেলে হানা দেয় সিবিআই। হোটেলের রান্নাঘর দিয়ে নাটকীয়ভাবে ঢোকেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। রুবি মোড়ের কাছে এই হোটেলে পৌঁছোয় সিবিআই-এর একটি দল। দলে ছিলেন সিবিআই-এর ৪ আধিকারিক। হোটেলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে দুপুর দেড়টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রাজীব কুমারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন জনা পাঁচেক সিবিআই তদন্তকারী। সূত্রের খবর, কাউকে না জানিয়েই কার্যত হঠাৎ হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দেখা যায়, পার্ক স্ট্রিটে রাজীবের সরকারি আবাস্থলে ঢুকে পড়েছে সিবিআই-এর সাদা রঙের একটি গাড়ি। এদিন প্রায় ৪৫ মিনিট কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ছিলেন সিবিআই অফিসাররা। অথচ কেউ নাকি বুঝতেই পারেননি, যে তাঁরা সিবিআই আধিকারিক। পরে বিষয়টি নজরে আসতেই পুলিশ তাঁদের ঘিরে ধরে বের করে দেয়। মনে করা হচ্ছে, রাজীব কুমারকাণ্ডে বুধবার ভিনরাজ্যের যে ১২ জন দুঁদে সিবিআই আধিকারিককে উড়িয়ে আনা হয়েছিল কলকাতায়, এদিনের অভিযান তাঁদেরই কীর্তি। এই মুহূর্তে জানা যাচ্ছে, ৪টি দলে ভাগ হয়ে শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।
এদিন কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে ফের নোটিস দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর তরফে, এমনটাও খবর। ১৬০নং ধারায় বর্তমান এডিজি সিআইডি রাজীবকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছে সূত্র।
আরও পড়ুন: ‘রাজীব কুমারের পরিণতির জন্য মমতাই দায়ী’
এদিকে, ঠিক এই সময়েই রাজীবের খোঁজে আলিপুরে আইপিএস মেসে হানা দেয় সিবিআই-এর আরেকটি দল। সিবিআই-এর ৪ আধিকারিক বৃহস্পতিবার দুপুরে আইপিএস কোয়ার্টারে ঢোকেন। সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের সন্ধানে বুধবার থেকেই জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই। ৩৪, পার্ক স্ট্রিটে রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আইনি রক্ষাকবচ সরতেই ‘বেপাত্তা’ রাজীব কুমার। এই শীর্ষ পুলিশকর্তাকে খুঁজতে চেষ্টার কম কসুর করছে না সিবিআই। রাজীবকে ধরতে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ থেকে বাঘা বাঘা অফিসারদের কলকাতায় উড়িয়ে এনেছে সিবিআই। বুধবারই দুপুরের পর ১২ জনের ওই সিবিআই দল কলকাতার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোয়। সূত্রের খবর, রাজীবের সন্ধান জোগাড় করাই ওই দলের প্রধান কাজ।
Live Blog
রাজীব কুমারের খোঁজে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান সিবিআই-এর। এ সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার নতুন করে ডিজিপিকে তারা চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজীব কুমারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ‘বর্তমানে কোন ফোন নম্বর কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল ব্যবহার করেন? রাজীবের ফোন নম্বর দিন’,এ ব্যাপারেই জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। এর আগে গত সপ্তাহে রাজীব কুমার কোথায় রয়েছেন? এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে নবান্নে গিয়ে ডিজিকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। পাশাপাশি একই কারণে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকেও চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। যে চিঠির উত্তরও দেওয়া হয়েছিল সিবিআইকে।
রুবি মোড়ের কাছে পাঁচতারা হোটেলে তল্লাশি অভিযান শেষে রাজীব কুমারের খোঁজে নিউটাউনের দিকে যাচ্ছে সিবিআই। এই দলে রয়েছেন ৪ সিবিআই আধিকারিক। এদিন হোটেলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। হোটেলকর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আলিপুর আদালতে সওয়াল করল সিবিআই। সূত্রের খবর, এদিন সিবিআই-এর তরফে বলা হয়, ‘‘রাজীব কুমার পলাতক। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। রাজ্য সরকারও সহযোগিতা করছে না। রাজীব কুমারের কোনও হদিশ নেই। তাই রাজীবের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হোক’’।
রাজীবের খোঁজে আলিপুরে আইপিএস মেসে হানা দেয় সিবিআই-এর আরেকটি দল। সিবিআই-এর ৪ আধিকারিক বৃহস্পতিবার দুপুরে আইপিএস কোয়ার্টারে ঢোকেন। সূত্রের খবর, রাজীব কুমারের সন্ধানে বুধবার থেকেই জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই। ৩৪, পার্ক স্ট্রিটে রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আইনি রক্ষাকবচ সরতেই ‘বেপাত্তা’ রাজীব কুমার। এই শীর্ষ পুলিশকর্তাকে খুঁজতে চেষ্টার কম কসুর করছে না সিবিআই। রাজীবকে ধরতে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ থেকে বাঘা বাঘা অফিসারদের কলকাতায় উড়িয়ে এনেছে সিবিআই। বুধবারই দুপুরের পর ১২ জনের ওই সিবিআই দল কলকাতার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোয়। সূত্রের খবর, রাজীবের সন্ধান জোগাড় করাই ওই দলের প্রধান কাজ।
এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ কলকাতা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে রাজীব কুমারের বাড়িতে ঢুকে পড়েন জনা পাঁচেক সিবিআই তদন্তকারী। সূত্রের খবর, কাউকে না জানিয়েই কার্যত হঠাৎ হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দেখা যায়, পার্ক স্ট্রিটে রাজীবের সরকারি আবাস্থলে ঢুকে পড়েছে সিবিআই-এর সাদা রঙের একটি গাড়ি। এদিন প্রায় ৪৫ মিনিট কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ছিলেন সিবিআই অফিসাররা। অথচ কেউ নাকি বুঝতেই পারেননি, যে তাঁরা সিবিআই আধিকারিক। পরে বিষয়টি নজরে আসতেই পুলিশ তাঁদের ঘিরে ধরে বের করে দেয়। মনে করা হচ্ছে, রাজীব কুমারকাণ্ডে বুধবার ভিনরাজ্যের যে ১২ জন দুঁদে সিবিআই আধিকারিককে উড়িয়ে আনা হয়েছিল কলকাতায়, এদিনের অভিযান তাঁদেরই কীর্তি। এই মুহূর্তে জানা যাচ্ছে, ৪টি দলে ভাগ হয়ে শহর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই।
এই মুহূর্তে হোটেলে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। রুবি মোড়ের কাছে একটি পাঁচতারা হোটেলে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। হোটেলের এক কর্মী জানান, ‘‘আমি কিছু জানি না এ ব্যাপারে’’।
রাজীব কুমারের খোঁজে বাইপাসে পাঁচতারা হোটেলে সিবিআই হানা। রুবি মোড়ের কাছে ভিভান্তা হোটেলে পৌঁছোয় সিবিআই-এর একটি দল। এই দলে আছেন সিবিআই-এর ৪ জন আধিকারিক। হোটেলের বাইরে রয়েছে কলকাতা পুলিশ।