/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/11/Chhath-Puja.jpg)
জরুরি ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি করেও লাভ হল না রাজ্যের। ছটপুজোর একদিন আগে ফের মুখ পুড়ল কেএমডিএ-র। কোনওভাবেই জাতীয় সরোবরের তকমা পাওয়া রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি দিল না শীর্ষ আদালত। জাতীয় পরিবেশ আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তিন বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আগের আদেশই বহাল রাখল। রবীন্দ্র সরোবর বা সুভাষ সরোবরে ছটপুজো হবে না এবছর।
রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KMDA)। আগেই পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এবছর রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে ট্রাইব্যুনাল। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেএমডিএ। কিন্তু সেখানেও রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়। তারপর দুই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে শুনানিতেও লাভ হল না।
আরও পড়ুন ‘মার্ক ইওরসেল্ফ সেফ ফ্রম বিজেপি’ প্রচারে ব্যাপক সাড়া, উচ্ছ্বসিত তৃণমূল
এই রায় প্রসঙ্গে কেএমডিএ-র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, "মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে এবছর আমরা বিধিনিষেধ মেনেই রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি চেয়েছিলাম। তা খারিজ হয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে শহরজুড়ে বিকল্প প্রচুর কৃত্রিম জলাশয় ও ঘাট তৈরি করা হয়েছে। সকলের কাছে আবেদন, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বাড়ির কাছের জলাশয় বা ঘাটে ছটপুজো করুন।"
আদালত অনুমতি দিক না দিক, বিকল্প ব্যবস্থা আগে থেকে করে রেখেছে কেএমডিএ। শহরের ১৬টি জলাশয়ে ৪৪টি কৃত্রিম ঘাট তৈরি করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভা ৪৮টি কৃত্রিম ঘাট তৈরি করেছে। ত্রিধারা মডেলে কৃত্রিম পুকুর তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি গঙ্গার ধারে আরও ৪০টি অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন