Mithun Chakraborty: একুশের ভোটপ্রচারের ময়দানে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিল তৃণমূল (TMC)। সম্প্রতি সেই অভিযোগ খারিজের আবেদন জানিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মোদীর তারকা সেনাপতি। কিন্তু তাতেও রেহাই মিলল না। শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মিঠুন-মামলার শুনানি হয়। সেখানেই আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সোমবার ফের ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রবীণ অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, শুক্রবার তদন্তের স্বার্থেই পুলিশের তরফে আদালতের কাছে আরও সময় চাওয়া হয়। আর সেই আবেদনই মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, বিজেপির (BJP) হারের পর রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে টুইট করেই মৌনব্রত ভেঙেছিলেন মিঠুন। কিন্তু সেই টুইটের ৪৮ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই বাংলায় নির্বাচনী-উত্তর অশান্তির দায় গিয়ে পড়েছিল মিঠুন চক্রবর্তীর ঘাড়ে! তারকা নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভোট প্রচারে গিয়ে সিনেমার গরম সংলাপ আউড়ে 'খুন-খারাপির উস্কানি' দিয়েছেন 'মোদীর সুপারস্টার সেনাপতি'। আর সেই অভিযোগ জানিয়েই ৬মে মাণিকতলা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিলেন যুব তৃণমূলের দুই নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল ও জয় মুখোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ৫০৪, ৫০৫-সহ মোট ৬টি ধারায় মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।
<আরও পড়ুন: Paroma Banerjee: ‘আর দেখতে পাব কিনা জানি না’, কোভিড আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টি খোয়ালেন গায়িকা পরমা!>
তবে শুক্রবার বিচারপতি চন্দ প্রচারের ময়দানে মিঠুনের সিনেমার সংলাপ আওড়ানো নিয়েও প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তাঁর যুক্তি, "সেই সংলাপগুলি যদি উস্কানিমূলক-ই হয়ে থাকে তাহলে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র মিলল কীভাবে? আর ভোটের সময় তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন-ই বা নীরব রইল কেন?" উল্লেখ্য, এই সপ্তাহেই মিঠুনের মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন অভিযোগকারী যুব তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল। তবে এই বিষয়ে এদিন কোর্টে কোনওরকম আলোচনা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে আগামী সোমবার ফের পুলিশি জেরার মুখে পড়তে পারেন বিজেপির তারকা সদস্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন