নতুন বছরের শুরুতেই পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে টালা ব্রিজ। রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে এমনটাই খবর, ৪ জানুয়ারি থেকেই টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতা উত্তরের ওই অঞ্চলে তীব্র যানজটের আশঙ্কা কাটাতে বছরের শুরু থেকেই উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির পরিবহণ ব্যবস্থা এবং ট্রাফিক রুটে আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে। 'পাবলিক ভেইকেল ডিপার্টমেন্টের' তরফে জানান হয়েছে, ৩ জানুয়ারি রাত থেকে টালা ব্রিজ বন্ধের কারণে পরিবর্তিত করা হয়েছে বাস চলাচলের রুট।৪ জানুয়ারি সকাল থেকে ব্রিজ বা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ৪২টি বাসরুট এবার নতুন পরিবর্তিত পথে চলবে।
আরও পড়ুন: ঠিক কেমন দেখতে হতে চলেছে নতুন টালা ব্রিজ? দেখে নিন মডেল
সোমবার অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর অমিতাভ ভট্টাচার্য্য, পিভিডি সেক্রেটারি নিমাই হালদার, সিপি আর এন ভাদুরি, শ্যামবাজারের ওসি রাজকুমার সিংহের উপস্থিতিতে ও বেসরকারি যাত্রী পরিবহন মালিক সংগঠন এর বৈঠকে এই নতুন পরিবর্তিত রাস্তা নির্ধারিত হয়েছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন রাস্তা দিয়ে কোন কোন বাস চলাচল করবে-
দক্ষিনমুখী অর্থাৎ বারাকপুরের দিক থেকে কলকাতাগামী সমস্ত বাস 'ওয়ান ওয়ে' পথ দিয়ে যাতায়াত করবে। বি টি রোড থেকে চিড়িয়ামোড় থেকে দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক- নর্দার্ন এভিনিউ হয়ে পাইকপাড়া মিল্ক কলোনি পর বেলগাছিয়া সেতু হয়ে শ্যামবাজারের রাস্তা ধরবে।
একই ভাবে উত্তরমুখী অর্থাৎ বারাকপুরমুখী বাস 'ওয়ান ওয়ে' রাস্তা ব্যবহার করবে। শ্যামবাজার থেকে ভূপেন বোস এভিনিউ ধরে রাজবল্লভ পাড়ার পর লক গেট ব্রিজ ধরে চুনিবাবু বাজার চিড়িয়া মোড় বি টি রোডে এসে উঠবে বাস।
অর্থাৎ টালা ব্রিজে বাস চলাচলের নিষেধাজ্ঞার পর যে রুট ছিল, সেই রুটকে রেখে উত্তরমুখী বাস রুটের রদবদল করা হল। কারণ, সম্পূর্ণভাবে টালা ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হলে পাইকপাড়ার ভিতরে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যাবে। সেই চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন, 'পাবলিক ভেইকেল ডিপার্টমেন্টের' আধিকারিক।
চিৎপুর ব্রিজে কোনো ভাবে চাপ বাড়ানো যাবে না। তাই ৪৩ ও ২৪২ রুটের বাস ও বেশ কিছু মিনি বাসকে চিৎপুর ব্রিজ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। ৭৮, ৭৮/১, ২০১ ,২২২, ২৩০,২৩৪,৩৪বি,৩৪সি,৩০এ, ৩২এ, ও ছটি মিনিবাস পাইকাপাড়া হয়ে বেলগাছিযা ব্রিজ ধরবে শ্যামবাজার যাওয়ার সময়। ডানলপের দিকে আসার সময় লক গেট ব্রিজ হয়ে চিড়িয়ামোড় যাবে।
টালা ব্রিজ ব্যবহারকারী হাওড়া থেকে সমস্ত ছোট গাড়িকে বালি ব্রিজ থেকেই যেতে দেওয়া হবে না। তাদের হাওড়া হয়ে দ্বিতীয় হুগলী সেতু ব্যবহার করার জন্য বলা হবে। অন্যদিকে বিটি রোড ধরে যেতে দেওয়া হবে না লড়ি। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস ওয়ের পর যশোহর রোড ধরে যাবে সমস্ত লড়ি। বাস মালিকরা রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাস ভাড়া বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা এখনই নেই।