Advertisment

গৃহহীন রাজ্যের মন্ত্রী, চোখের জলে পাড়া ছাড়লেন মন্ত্রী-পত্নী

তাপস রায় বলেন, "কিছু জিনিসপত্র নেওয়া সম্ভব হয়েছে। সব তো আর নেওয়া যাবে না। খুব জরুরি আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলিই নিয়েছি, বাকি সব কিছুই ফেলে রেখে যাচ্ছি"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজের জেরে গৃহহীন হয়ে পড়ছে বৌবাজারের একাধিক পরিবার। এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন রাজ্যের এক মন্ত্রীও। বুধবার রাতে হঠাৎ মন্ত্রীর বাড়ির দরজায় কড়া নেড়ে মেট্রো আধিকারিকরা জানিয়ে যান, 'বাড়ি খালি করতে হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার মধ্যে গাড়ি আসবে, গোছগাছ করে রাখবেন'। জানা যাচ্ছে, বৌবাজার মেট্রো সুড়ঙ্গ বিপর্যয়কাণ্ডে বাড়ি ছাড়ার তালিকা থেকে বাদ পড়েনি বৌবাজারে ১০৫ বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রীট। এই বাড়িতেই বাস মন্ত্রীমশাইয়ের। বুধবার রাতে মন্ত্রী তাপস রায়কে ফ্ল্যাট-সহ এই এলাকার মোট সাতটি পরিবারকে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Advertisment

মন্ত্রী তাপস রায় এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, "গত পাঁচ দিন ধরেই চোখের সামনে দেখছি একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ছে। কাল বিদেশী ইঞ্জিনিয়ার ও মাটি পরীক্ষার লোকজনরা এসে পরীক্ষা করে দেখেছেন যে আমাদের ফ্ল্যাটের অবস্থাও ভাল নয়। তাই ঘর ছাড়তে হবে"। তিনি আরও বলেন, "কিছু জিনিসপত্র নেওয়া সম্ভব হয়েছে। সব তো আর নেওয়া যাবে না। খুব জরুরি আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলিই নিয়েছি, বাকি সব কিছুই ফেলে রেখে যাচ্ছি"।

publive-image রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বাড়ির জিনিস পত্র

আরও পড়ুন: আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি, বৌবাজারে ভেঙে পড়তে পারে আরও সাতটি বাড়ি

রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাপস রায়ের স্ত্রী শুভ্রা রায় কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে শুনেই খুব ভেঙে পড়েছি। ৩৩ বছর হয়েছে আমি বিয়ে করে এই পাড়ায় এসেছি। কোনওদিন ভাবিনি বৌবাজার ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। যাঁদের বাড়ি একেবারেই ভেঙে পড়েছে, তাঁদের কথা ভেবে খুব কষ্ট পাচ্ছি"। উল্লেখ্য, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ের কোয়াটারে গিয়ে উঠবেন মন্ত্রী তাপস রায় ও তাঁর পরিবার।

আরও পড়ুন: ৩ দিনেই বৌবাজার যেন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ

প্রসঙ্গত, নিজের শহরেই রাতারাতি উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন বৌবাজারের একাধিক মানুষ৷ মেট্রোর গণনা অনুযায়ী, মোট ষাটটি বাড়ি খালি করার নির্দেশ রয়েছে। বুধবার রাতে ১২টা ৪৫ নাগাদ গৌর দে লেনে মেট্রো আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়ে যান, বাড়ি খালি করতে হবে। সকাল ১১ টার মধ্যে খালি করতে হবে সমস্ত বাড়ি। যা শুনে আতঙ্কে প্রহর গুনছে বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার পুলিশ এসে এলাকায় জানিয়ে দিয়ে যায়, নিজের নাম পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও তাঁদের নাম, ফোন নম্বর-সহ কন্ট্রোল রুমে জমা করলেই হাতে রসিদ দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে বাড়ির কোনও ক্ষতি হলে সেই রসিদ দিয়েই ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

kolkata news
Advertisment