নাগরিকত্ব আইন, প্রস্তাবিত এনআরসির বিরুদ্ধে এবার কলকাতায় পথে নামলেন নাট্যকর্মীরা। রাসবিহারী থেকে অ্যাকাডেমি চত্বর পর্যন্ত প্ল্যাকার্ড-ব্যানার হাতে মিছিল করলেন তাঁরা। এদিকে সিএএ ইস্যুতে বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করতে ছাড়লেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এর আগেওসিএএ-এর প্রতিবাদে কলকাতায় পড়ুয়াদের সঙ্গে মিছিলে হেঁটেছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট জনেদের একাংশ। সেখানে দেখা গিয়েছিল অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন সহ বেশ কয়েকজন রূপোলি পর্দার মুখকে। এবার একই ইস্যুতে প্রতিবাদে পথে নামলেন নাট্যকর্মীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড, আর গলায় গান। এভাবেই শুক্রবার দুপুরে রাসবিহারী থেকে নাট্যকর্মীদের মিছিল এগিয়ে চলে অ্যাকাডেমি চত্বর দিকে। মিছিল ছিল না কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা। মিছিল হাঁটেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র বসু, পল্লব কীর্তনীয়া, নীল মুখোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, চন্দন সেনের মত নাট্য ব্যক্তিত্ব। এনআরসি ও সিএএ মাধ্যমে দেশে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চলছে। তার প্রতিবাদেই পথে নেমে 'বন্ধন' রচনার চেষ্টা বলে জানান নাট্যকর্মীরা।
আরও পড়ুন: রাজনীতি নয়, দায়বদ্ধতার টানেই এসেছি পার্ক সার্কাসে: পি চিদাম্বরম
নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী বলেন, 'সিএএ-এর বিরুদ্ধে কতা বলায় যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিশানা করা হচ্ছে তা বরদাস্ত করা যায় না। এই মিছিলে কোনও রাজনীতির রং নেই। আমাদেরও কোনও রাজনীতির রং নেই। আমরা পথে নেমেছি শুধু বিভেদকামী সিএএ-এর প্রতিবাদ করতে।' বাংলা সিনেমা ও নাটকের অন্যতম অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, 'দেশ আজ চরম সঙ্কটের সম্মুখীন, আর মানুষ জাগতে শুরু করেছে। শাসকরা দেশবাসীর প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারছে। এই প্রতিবাদ চলবে।'
সিএএ বিরোধী মিছিল ঘিরে অবশ্য নাট্যকর্মীদের আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এই প্রতিবাদ মিছিল আসলে বিজেপির বিরুদ্ধে। বুদ্ধিজীবীরা সঙ্কটে পড়েছেন। তাই পথে নেমেছেন। তৃণমূল ভয় পেয়েছে, তাই ভীত হয়ে পড়েছেন বুদ্ধিজীবীরাও।'
Read the full story in English