উচ্চমাধ্যমিকে সর্বাধিক নম্বর পাওয়া ছাত্রীর পরিচয় দিতে গিয়ে তাঁর ধর্মের উল্লেখ করেছিলেন শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। যার পর রাজ্যের সর্বত্র নিন্দার ঝড় ওঠে। পড়ুয়ার ধর্ম উল্লেখ করায় প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস-বিজেপি সহ সব দলই। উত্তাল পরিস্থিতি সামাল দিতে সভাপতির মন্তব্যের নিন্দা করে তৃণমূলও। ফল প্রকাশের একদিন পর এ নিয়ে মুখ খুললেন সংসদ সভাপতি।
এদিন সল্টলেকে শিক্ষা সংসদের ভবনের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের তরফে বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড হয়। সভাপতির ইস্তফা দাবি করেন মঞ্চের সদস্যরা। এদিন মহুয়া দাস বলেছেন, "মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, গতকাল আবেগের বশে বলে ফেলেছি।" পরীক্ষার্থীর ধর্ম উল্লেখ আবেগের বশে করে ফেলেছিলেন। অন্য কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না বলে জানিয়েছেন মহুয়া।
গতকাল ফল প্রকাশের সময় সাংবাদিক বৈঠকে সভাপতি বলেন, "যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন একক ভাবে। কোনও ব়্যাঙ্ক বলছি না, সর্বোচ্চ নম্বক। সর্বোচ্চ নম্বর এককভাবে পেয়েছেন একজন মুসলিম কন্যা। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একজন মুসলিম গার্ল। এককভাবে ৪৯৯ নম্বর পেয়েছেন।" এরপরই মহুয়া দাসের বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ধর্ম উল্লেখ করে ছাত্রীকে হেঁয় করতে চেয়েছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন মুর্শিদাবাদের গর্ব রুমানা ‘কন্যাশ্রী’র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, ঘোষণা জেলাশাসকের
এদিন বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে ছোট করা হয়েছে। রাজ্যে তোষণনীতি কোথায় পৌঁছেছে তার উদাহরণ হল এই ধরনের মন্তব্য। স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে মহুয়ার বক্তব্য, "সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার এত ভাল রেজাল্ট কেউ করেছে। ওঁর কথা বলার সময় আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করছিলাম। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, তাঁর গৌরব যাতে সংসদ সবার মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে, সেই অভিপ্রায় থেকেই একথা বলেছিলাম।"
যদিও এই বিষয়ে বিতর্কের আগুন থামছে না। বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলি বিতর্কে ঘৃতাহুতি করে সাম্প্রদায়িক তোষণের উদাহরণ টেনে এনেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন