Advertisment

সাইক্লিং কমায় ক্যানসারের ঝুঁকি!

সম্প্রতি গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় জানা গেছে, সাইক্লিং ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দেয়। আর কী কী করতে পারে এই সাইক্লিং? দেখে নিন এক নজরে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সাইকেল চালালে কমবে শারীরিক ঝুঁকি

সকালে উঠে যোগাসন করতে অনেকেরই ক্লান্তি আসে, আবার ঠিক কোন ব্যায়াম করা উচিৎ সে ব্যাপারে ঠিক মতো আইডিয়া না থাকায় অনেকেই নানারকম  ভুল করে থাকেন। এদিকে বাড়তি ওজনও পিছু ছাড়েনা। আপনিও যদি এই তালিকার হন, তাহলে আপনার জন্য় রইল এই টিপস। সাইক্লিং করুন, সারাদিনে কিছুটা সময় বের করে সাইকেল চালান। যোগাসনের একঘেয়েমিও আসবে না, এদিকে সমাধান হবে সমস্যারও। হাতেনাতে ভাল ফল পাবেন কিছুদিনেই। সাইকেল না চালাতে পারলে আজই শিখে নিন। ব্য়স, তাহলেই কেল্লাফতে।

Advertisment

কী কী সুবিধা মিলবে সাইক্লিংয়ে

সাইক্লিংয়ে প্রভূত শারীরিক পরিশ্রম হয়, ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও কমে। যাঁদের ওজন ইতিমধ্যেই অনেকটা বেশি, সাইক্লিংয়ে তাঁদের ওজন কমবে।

ভোরের দিকে বেরিয়ে পড়ুন সাইকেল চেপে। নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে,মনও ভাল থাকছে সারাদিন। বিভিন্ন মানসিক জটিলতা কেটে যাচ্ছে অনায়াসেই। সাইক্লিংয়ে বাড়ে ফুসফুসের কার্যকারিতা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে যাঁরা পরিবহণ হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করেন,  তাঁদের ফুসফুসের সমস্যা অনেক কম। তুলনায় যাঁরা পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ি ব্যবহার করেন, তাঁদের উপর দূষণ অনেক বেশি প্রভাব ফেলে।

নিয়মিত সাইক্লিং হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য় করে, এ কথা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও যে সাইক্লিং যথেষ্ট সহায়ক সে কথা জানতেন কি? সম্প্রতি গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষায় জানা গেছে, সাইক্লিং এই মারণরোগের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: হাজারও সমস্য়া থেকে বাঁচতে এই অ্য়াপগুলো ইনস্টল করুন আজই!

যাঁরা ইনসমনিয়ায় ভোগেন, সাইক্লিং তাঁদের ক্ষেত্রেও মহৌষধের কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এমনকি মানসিক অবসাদ কমাতেও সাইক্লিং অব্যর্থ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাইক্লিং অত্যাবশ্যক প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে উদ্দীপিত করে শ্বেত রক্তকোষ। এর ফলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

সাইক্লিংয়ের সময়ে, অন্য সবসময়ের মতোই চেতন-অবচেতনের বিভিন্ন ভাবনার সঙ্গে যুঝতে হয়। আর একই সঙ্গে সাইকেলের নিরাপদ পথটিকেও বেছে নিতে হয়। মস্তিষ্কের এই নানাবিধ কার্যকারিতা একই সঙ্গে চলতে থাকায় বাড়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা।

তবে হাঁটুর ব্যথার মতো কোনও সমস্যা থাকলে অবশ্য়ই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই সাইকেল চালাবেন। নচেৎ সমস্যা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন: পেটের বাড়তি মেদ নিয়ে চিন্তিত? রইল কয়েকটা সমাধান

Advertisment