পশ্চিমী পুরাণ মতে নিষিদ্ধ ফল হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানে রীতিমতো প্রবাদ রয়েছে, 'অ্যান অ্যাপল আ ডে, কিপ্স দ্য ডক্টর আওয়ে'। আপেলের ঔষধি গুণ এতদিন অজানা ছিল না কারো। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কয়েক কোটি ব্যাক্টেরিয়ায় ঠাসা থাকে এক একটা আপেল। তাহলে এখন উপায়? আপেল কী তাহলে সত্যিই নিষিদ্ধ হল? উঁঁহু। গবেষণা বলছে কোন আপেল ছোঁবেন, কোনটা ফেলবেন, তার কিছু নিয়ম রয়েছে।
ফ্রন্টিয়ার ইন মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে অর্গানিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ জৈব উপায়ে যে সমস্ত আপেলের চাষ হয়, সে সব ক্ষেত্রে আপেলের মধ্যে নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া চলে আসে। ফলে আপেলের গুণগত মান এবং স্বাদ, দুই-ই উৎকৃষ্টতর হবে। এ ছাড়া, জৈব পদ্ধতিতে চাষ সবসময়ই পরিবেশবান্ধব।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজকার মেনুতে রখুন এই সব খাবার
এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে বাজারে আপেল কিনতে গেলে কিন্তু এমনিতে আপনাকে অর্গানিক আপেল দেবে না। এই আপেলের দাম বেশি হয়। সাধারণত ফলন বাড়ানোর জন্য আপেল বা অন্যান্য যে কোনও ফল, শাক সব্জিতেই যথেচ্ছ পরিমাণে কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়।
অস্ট্রিয়ার গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্যাবরিয়েল বার্জ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাস আমাদের দেহের দখল নিয়ে নেয়। রান্না করা খাবার খেলে সে সব ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া সব মরে যায়। যে সমস্ত ব্যাক্টেরিয়া আমাদের শরীরের জন্য ভালো, সেগুলোও মরে যায়।"
ভেঙে চুরমার হোক গুচ্ছের যত ডায়েট-মিথ
২৪০ গ্রাম একটি আপেলের মধ্যে ১০ কোটি ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই থাকে আপেলের বীজে। তাই বীজ ফেলে আপেল খেলে মাত্র দশ ভাগের এক ভাগ ব্যাক্টেরিয়া যাচ্ছে আপনার শরীরে।
জৈব উপায়ে চাষ করা আপেলে ব্যাক্টেরিয়ার বৈচিত্র অনেক বেশি থাকে। এদের মধ্যে ইসচেরিশিয়া শিজেল্লা অবশ্য সাধারণ আপেলেই বেশি থেকে। জৈব আপেলে থাকে মিথাইলোব্যাক্টেরিয়াম ব্যাক্টেরিয়া।
গবেষণা তাহলে মোদ্দা কথা কী বলছে? যে আপেলে রাসায়নিক সার, কীটনাশক নেই, সে সবে ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক এবং ভাইরাসের বৈচিত্র এবং পরিমাণ, দুই-ই বেশি। ফলে আমাদের কাছে এ ধরনের আপেলের উপকারিতাও বেশি। কিন্তু আপেল খেতে হবে বীজ সমেত।
Read the full story in English