দেশে আবারও এক দৃষ্টান্ত তৈরি হতে চলেছে। রূপান্তরকামীদের নিয়ে সমাজে ছুৎমার্গ রুখতে এবার আরও এক পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে প্রশাসন। মহারাষ্ট্রের বিড় থানার সেই কনস্টেবলের কথা মনে আছে? তাঁর নাম ললিতা সালভে। যিনি লিঙ্গ বদলে হয়েছেন ললিত সালভে। হ্যাঁ, তাঁর ললিতা অবতার থেকে ললিত অবতারের অনুমতি মিলেছিল। অনুমতি মেলার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের পুরুষ কনস্টেবল হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ললিত সালভে। এবার আরও এক মহিলা কনস্টেবল লিঙ্গ বদলের আর্জি রাখলেন। রেলওয়ে প্রোটেকশন স্পেশাল ফোর্সের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ওই মহিলা লিঙ্গ বদলের আর্জি জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রধানের কাছে।
ওই মহিলা কনস্টেবলের আর্জি পাওয়ার পরই আরপিএফের ডিজি ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিশকে। সালভেকে অনুমতি দেওয়ার জন্য যা শর্ত ও নির্দেশনামা প্রয়োজন হয়েছিল, তা বিশদে জানতে চেয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশকে আরপিএফের ডিজি চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সালভের মতো ওই মহিলা কনস্টেবল লিঙ্গ বদলের অনুমতি পেলে, তিনি হবেন এ নিয়ে দেশে তৃতীয় কোনও মহিলা পুলিশকর্মী, যিনি লিঙ্গ বদলে পুলিশ বাহিনীতে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন, পর্ন সাইট ব্লক করার নির্দেশ দিল উত্তরাখন্ডের উচ্চ আদালত
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ওই মহিলা পুলিশকর্মী জানিয়েছেন যে, ছোটবেলা থেকেই তাঁর দেহে পুরুষ যৌনাঙ্গ ছিল। গত বছর তিনি ডাক্তারি পরীক্ষা করান। সেখানে চিকিৎসকও বলেন যে তাঁর দেহে পুরুষ যৌনাঙ্গ রয়েছে। সেজন্যই তিনি লিঙ্গ বদলের আর্জি জানিয়ে জুলাইয়ে চিঠি লেখেন তাঁর বিভাগীয় প্রধানকে। লিঙ্গ বদলে পুরুষ কনস্টেবল হিসেবেই তিনি কাজ করতে চান বলেও আর্জি জানিয়েছেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী।
অন্যদিকে, প্রথমে ললিতা সালভের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের নিরিখে তাঁর আর্জি খারিজ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, কাজে যোগ দেওয়ার জন্য একজন পুরুষ প্রার্থীকে ১৬০০ মিটার দৌড়তে হয়, সেখানে মহিলা প্রার্থীকে দৌড়োতে হয় ৮০০ মিটার। ফলে ললিতা সালভে মহিলা প্রার্থী হিসেবে ৮০০ মিটার দৌড়েছিলেন। কিন্তু তাঁর লিঙ্গ বদলের পর তিনি পুরুষ হওয়ায়, তাঁর নিয়োগে এই নিয়ম ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। তবে সালভের মতো এমন বিশেষ ক্ষেত্রে এ নিয়ম লাগু হয় না বলেই জানিয়েছেন আরপিএফের এক আধিকারিক।