খুদেকে মানুষ করতে ওষ্ঠাগত প্রাণ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সদ্য মা হওয়ার পরে এমন একটা মানসিক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যান নতুন মায়েরা। তৈরি হয় ডিপ্রেশন। তবে এতে ভেঙে পড়ার কারণ নেই। এর থেকে বেরিয়ে আসার হাজারো উপায় রয়েছে। জেনে নিন ঠিক কোন দিকগুলোয় নজর দেবেন। সন্তানের বাইরেও যে আপনার নিজস্ব একটা জীবন রয়েছে একথা ভুলতে বসা মায়েদের জন্য রইল সমাধানের সুলুক সন্ধান।
শারীরিক দিকে নজর দিন
সময় মতো খান, এবং খেয়াল রাখুন আপনার ডায়েটে যেন উপযুক্ত প্রোটিন, ভিটামিন সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট সময় বের করুন ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজের জন্য়। পর্যাপ্ত ঘুম দরকার আপনারও, সেদিকে খেয়াল রাখতে ভুলবেন না। সাজগোজ করুন, নিজের পোশাকের দিকে, মেকআপের দিকে নজর দিন নতুন করে। মন ভাল রাখতে এই দিকগুলোও ভীষণ সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: বয়স্কদের অবসাদ কাটিয়ে দেয় ভিডিও চ্যাট
মানসিক শান্তিও প্রয়োজন
নিজের ভাললাগাগুলোর জন্য় সময় বের করুন, যেমন বই পড়তে পারেন, গান গাইতে পারেন, নাচ পছন্দ করলে তাও করতে পারেন। এই সময়টা নিজের জন্য রাখুন। অন্য কারও কথা ভাববেন না। অথবা আপনার পছন্দের মানুষের সঙ্গে সময় কাটান, তখন সাংসারিক সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলবেন না, ভাল কোনও আলোচনা করুন। সময় বের করে ঘুরতে যেতে পারেন, একা বা কোনও পছন্দের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন, কান্না পেলে কাঁদুন, কান্না চেপে রাখবেন না। তবে যাঁর সঙ্গে আপনি আপনার মনের কথা ভাগ করছেন খেয়াল রাখবেন সে যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়।
সামাজিক সম্পর্কগুলো বজায় রাখুন
মনে রাখুন আপনার পরিচয় শধু মা নয়, অন্যান্য সম্পর্কেও রয়েছেন আপনি। নিজের মা-বাবা, ভাই-বোন ,স্বামী অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে সময় কাটান, সেই সম্পর্কেগুলোও বজায় রাখুন। বন্ধুদের সঙ্গে কফি ডেটে যেতে পারেন, কিংবা হঠাৎ ডিনার প্ল্যান করে বেরিয়ে পড়তে পারেন। অন্যান্য বাবা-মায়ের সঙ্গেও (যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন বা এই পরিস্থিতি কাটিয়ে এসেছেন) কথা বলুন তাহলে বুঝতে পারবেন এই সমস্যাটা আপনার একার নয়, যে কোনও বাবা-মাই এই একই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন।নিজের যত্ন নিন, নিজের কথা ভাবুন, আপনার আশেপাশে যাঁরা রয়েছে তাঁদেরকেও বলুন আপনার সন্তানের বাইরেও আপনার অস্তিত্বের কথা ভাবতে এবং বিভিন্ন কাজে আপনাকে সমর্থন করতে।
খেয়াল রাখুন
আপনি যদি আপনার নিজের কথা না ভাবেন তাহলে অন্যরাও আপনাকে কোণঠাসা করে দেবে। তবে এর মানে এই নয় যে আপনি আপনার সন্তানকে অবহেলা করবেন। তবে নিজের জন্যও সময় রাখুন, নিজেকে উৎসাহিত করুন, কারণ আপনি আপনার সেরাটা দিচ্ছেন সন্তানকে মানুষ করে তুলতে। কাজেই মাথায় রাখুন আপনার মধ্যে কোনও খুঁত নেই। আনন্দে থাকুন, আপনি ভাল থাকলেই আপনার সন্তানও ভাল থাকবে।